পদ্মা সেতু দেখা হলো না চার বন্ধুর। তার আগেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে চার বন্ধুসহ ছয়জনের। মুন্সীগঞ্জের নিমতলি-হাঁসারা হাইওয়েতে গতকাল বৃহস্পতিবার(২ মে) দিনগত রাত পৌনে একটার দিকে কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ছয়জনের মধ্যে চার বন্ধু হলেন—চাঁদপুর সদর উপজেলার ইচলি এলাকার সামাদ গাজী, আহাদ, সিফাত ও মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নাঈম। নিহত অপর দুজনের মধ্যে একজন অটোরিকশার চালক এবং অন্যজন আরোহী ছিলেন। তবে তার নাম জানা যায়নি।
নিহত সামাদের চাচাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, ‘পদ্মা সেতু দেখার জন্য তিন বন্ধু চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যান। সেখান থেকে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর এলাকায় তাঁদের অপর দুই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। এ সময় তাঁদের তিনজনের সঙ্গে অপর দুই বন্ধুর মধ্যে একজন উপস্থিত ছিলেন। রাতে বন্ধুদের বাসা থেকে আজ শুক্রবার পদ্মা সেতু দেখার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।’
জানা গেছে, গতকাল রাতে অটোরিকশায় করে মাওয়া যাচ্ছিলেন চার বন্ধু। নিমতলি-হাঁসারা হাইওয়েতে একটি কাভার্ডভ্যানের পেছন পেছন যাচ্ছিল তাঁদের অটোরিকশা। এ সময় কাভার্ডভ্যানটি গতি কমালে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা পাঁচ আরোহী এবং চালক নিহত হন। এর মধ্যে ওই চার বন্ধুও ছিলেন। এ ছাড়া অপর দুজনের মধ্যে সিএনজির চালক এবং একজন আরোহী রয়েছেন।
নিহত সামাদ গাজীর বন্ধু রাব্বি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার বন্ধুরা ঘুরতে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছিল। তাঁরা আমাকে জিজ্ঞাস করেছিল যে, আমি যাব কি না। প্রথমে যাওয়ার কথা বললেও গতকাল আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় যেতে পারিনি। এর মধ্যে তাঁদের সঙ্গে কয়েক বার আমার ইমোতে কথা হয়েছে। পরে গতকাল রাতে এ দুর্ঘটনার খবর পাই।’
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে, এখনই খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।’