চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারান্দায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পরে জ্ঞানহীন দুই ব্যক্তি পড়ে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ছবি প্রকাশ হলে অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিবারে সদস্যরা পরিচয় সনাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে একজন অচেতন ব্যক্তিকে এক ভ্যান চালক হাসপাতালে রেখে যান পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আরও একব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় জীবননগর মুক্তমঞ্চে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এদের একজনের নাম মিজানুর রহমান (৪০) অপরজনের নাম লাভলু (৪৫)। মিজানুর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাতিভাঙা গ্রামের বাসিন্দা। আর লাভলু একই উপজেলার ঝাওদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারি পশুর হাটে গরু কিনতে এসে অজ্ঞানপাটির খপ্পরে পড়ে বলে জানা গেছে।
মিজানুর রহমানের ভাই রুপচাঁদ মন্ডল বলেন, আমি খবর পেয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জীবননগর এসে পৌঁছাই। এসে দেখি আমার ভাই জীবননগর মুক্তমঞ্চের ওপর অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পড়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।হাসপাতালে এসে দেখি লাভলু হাসপাতালে ভর্তি। কয়েকবার বমি করেছে। তাঁর গায়ে স্যালাইন চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই লাভলুর সঙ্গে শিয়ালমারি গরু কিনতে আসছিল।পথিমধ্যে তাদের অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। তাদের নিকট দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ছিলো। মিজানুরের মোবাইল ফোন রেখে গেছে তাছাড়া টাকাপয়সা যা ছিলো সব নিয়ে গেছে।’
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসিন আরাফাত বলেন, বেলা ১১টার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় (মিজানুর রহমান) এক ব্যক্তিকে একজন পাখিভ্যান চালক হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় পেয়েছি। তবে তাঁর জ্ঞান ছিল না। রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বর্তমানে তার অবস্থা ভালো।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান বলেন, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া দুজন ব্যক্তি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি