বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে পানিতে নেশা জাতীয়দ্রব্য মিশিয়ে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়ায়। এ ঘটনায় মামলা করায় অভিযুক্তদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পরিবারটি।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী এলাকায় রোকসানা আক্তার নামে প্রতিবেশী এক নারী ওই শিশুকে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে তার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে পানির সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে অচেতন করে।
পরে রোকসানার ঘনিষ্ট একই এলাকার মোহাম্মদ ইউনুছ (৩০) শিশুটিকে ধর্ষণ করে। নির্যাতনে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তারপর শিশুটিকে প্রথমে চকরিয়া ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় গত ৭ জুন চকরিয়া থানায় ইউনূছ ও রোকসানাকে আসামি করে মামলা করে শিশুটির মা।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রথমে জামা কিনে দেয় রোকসানা। তারপর অনুষ্ঠানে যাবে বলে তার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে খাবার খাওয়ার সময় পানি খাওয়ার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। এরপর তার খাটে আমাকে শুয়ে রাখে। এরপর ইউনূছ এসে আমাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তি করে। এরপর আমি আর কিছু জানি না।
মেয়েটির মা ও মামলার বাদী বলেন, অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েকে পেয়ে প্রথমে চকরিয়া ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অনেক হুমকির মুখে ৭ জুন চকরিয়া থানায় মামলা করার পর এক লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি সমঝোতার জন্য চাপ দেওয়া হয়। সমঝোতা না করায় অভিযুক্তদের হুমকিতে পালিয়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাসায় আছি।
এদিকে রোববার (১৩ জুন) রাতে অভিযুক্ত রোকসানা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার র্যাব -১৫ এর সদস্যরা। এ ঘটনার মূল হোতা ইউনূছকেও গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনার কথা জানান কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন ঘটনা প্রকাশের পর আসামিদের ধরতে মাঠে নামে র্যাব। মেয়েটির পরিবার খুবই গরিব। তাকে আইনি সহায়তা পেতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে র্যাব।
খুলনা গেজেট/ টি আই