খুলনার ইস্টার্ণগেটে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত সাইফুল ইসলাম(১৮) নামে আরো একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (১৭ জুলাই) ১২ টা ২০ মিনিটে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়। আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল সূত্রে জানা যায়, খানজাহানআলী থানাধীন মিশয়ালী এলাকার সাহিদুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮) নাকের ডান সাইডে গুলিবিদ্ধ আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বুকের ডান সাইডে উপরে গুলিতে আহত খানজাহানআলী থানাধীন মশিয়ালী পূর্বপাড়া এলাকার মৃত. শরিতুল্লাহ শেখের ছেলে মো. আফসার শেখ (৬০) খুমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত্ব, বৃহস্পিতবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিপক্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আটরা গিলাতলা এলাকায় আটরাগিলাতলার মশিয়ালী এলাকার মৃত মোঃ বারিক শেখের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৬০) ও একই এলাকার মোঃ ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০)।
এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম অবস্থায় ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় মোঃ সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ অন্তত ৮ জন।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা দফায়-দফায় বিক্ষোভ করে। অগ্নিসংযোগ করে খানজাহান আলী থানা আ’লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ জাকারিয়া, তার ভাই মিল্টন ও জাফরীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
খানজাহান আলী থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিক্ষুব্ধরা আগুন দিয়েছিল। সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের টীম এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। পরিস্থিতি সম্পুর্ণ শান্ত। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
খুলনা গেজেট/এমএম