এই হরতালে যদি সাধারণ মানুষের সমর্থন থাকত, তাহলে রাস্তায় গাছ ফেলে চলাচল আটকে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ত না। হরতালে সমর্থন দিলে মানুষ এমনিতেই ঘর থেকে বের না হয়ে হরতাল সফল করতো। মানুষ নানা প্রয়োজনে রাস্তায় চলাচল করতে চাইছে তাদেরকে চলাচল করতে দিচ্ছে না রাজনৈতিক দলগুলো।
অসংখ্য মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তারা রাস্তায় চলাচল করতে না পেরে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর বিরক্ত।
৪টি আসন বহালের দাবি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাট এই দাবি আদায় করতে গিয়ে বারবার হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে জনগণের ভোগান্তি বাড়ানো হচ্ছে।
মানুষের বিপক্ষে গিয়ে সমর্থন হারালে আগামী নির্বাচনে তারা আর রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট দেবে না, এই কথাটা ভেবে দেখা দরকার।
তার ওপর শুনছি, আসছে নির্বাচনে ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ চালু হতে যাচ্ছে। মানুষ যদি অসন্তুষ্ট হয়, তাহলে তারা প্রার্থীর প্রতীকের পাশে সিল না দিয়ে সরাসরি ‘না’ ভোট দিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করবে।
তাই বিকল্প পথ খুঁজে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের নতুন কৌশল বের করুন। প্রয়োজন হলে ইসির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করুন, নির্বাচন বয়কট করুন। হরতাল অবরোধে সবাই অতিষ্ঠ। (ফেসবুক ওয়াল থেকে)
লেখক : গণমাধ্যমকর্মী, বাগেরহাট।
খুলনা গেজেট/এনএম