মঙ্গলবার । ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ । ১৯শে কার্তিক, ১৪৩২
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাথে তারেক রহমানের বৈঠক আজ

খুলনার ৬ আসনে আমন্ত্রণ পেলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ৩৫টি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) বৈঠক করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খুলনা জেলার ৬টি আসনে রবিবার রাত পর্যন্ত ১৪ মনোনয়নপ্রত্যাশী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রতিটি বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রবিবার চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সোমবার খুলনা বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিবেন তারেক রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নেতাদের ফোন করে আমন্ত্রণ জানানো শুরু হয়। খুলনা-১ আসন থেকে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল, খুলনা-২ আসন থেকে সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বর্তমান নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, খুলনা-৩ আসনে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন
বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।

খুলনা-৪ আসনে কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক ফোন পেয়েছেন।

খুলনা-৫ আসন থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর লবী এবং খুলনা-৬ আসন থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, পাইকগাছার সভাপতি আবদুল মজিদ, সাংবাদিক আনোয়ার আলদীন এবং আমিরুল ইসলাম কাগজী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

রবিবার রাতে খুলনা-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফি মোহাম্মদ খান ও ইবাদুল হক রুবায়েদকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এদিকে প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে দুই শতাধিক আসনে একক প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে। আমরা প্রক্রিয়ার একদম শেষ পর্যায়ে আছি। শিগগিরই সবাইকে জানানো হবে যেন যে যার এলাকায় নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।’

ইতোমধ্যেই রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তারেক রহমানের ফোন পেয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তাদের কেউ কেউ প্রচারণার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে তরুণ, পেশাজীবী এবং রাজনৈতিকভাবে পরিচিত মুখদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এটি দলের নতুন প্রজন্মকে সামনে আনার একটি কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সহায়ক হতে পারে।

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ আসনে তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-৬ আসনে ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১০ ব্যারিস্টার নাছির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ঢাকা-১২ হাবিব উন খান নবী সোহেল, ঢাকা-১৩ আসনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ঢাকা-১৫ আসনে মামুন হাসান এবং ঢাকা-১৬ আসনে আমিনুল হক মনোনয়নের জন্য গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এই তালিকা ঢাকার রাজনীতিতে বিএনপির নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত বহন করছে।

তবে এবার ঢাকা থেকে সবচেয়ে আলোচিত নাম ‘মায়ের ডাক’ আন্দোলনের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলি। তিনি ইতোমধ্যে ঢাকা-১৪ আসনে নির্বাচনের গ্রিন সিগনাল হিসেবে তারেক রহমানের ফোনকল পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন তুলিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

এছাড়া ঢাকা-১৭ আসনটি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)-এর সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন