মঙ্গলবার । ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ । ১৯শে কার্তিক, ১৪৩২

ভোটের জোটে জমিয়তে উলামায়ে’র পিছু টান

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

জুলাই সনদকে সামনে রেখে ইসলাম পন্থী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রক্রিয়ার শুরুতেই ছোট খাটো হোঁচট খেয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সাথে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮টি রাজনৈতিক দল জোট বাঁধে। আক্বিদা সম্পর্কিত মিল না থাকায় জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামী পিছু টান নিয়েছে। দ্বিমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জুন থেকে ইসলাম পন্থী দলগুলো এক কাতারে দাঁড়ায়। তার অংশ হিসেবে লিয়াজোঁ কমিটিও গঠন করা হয়। গেল রবিবার পিআরসহ নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে সমমনা দলগুলো কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এ কর্মসূচির সাথে জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের সম্পৃক্ততা ছিলনা। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (মিয়াজি গ্রুপ) গত সোমবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ভূমিকা রাখেনি। তারা প্রধান দলের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছে। সমমনা জোটের শরীক নিজামী ইসলামীর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একেএম আশরাফুল হক বলেছেন, “আমরা ঐক্য ধরে রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”

তিনি বলেছেন, “পিআর ইসলাম বিরোধী ও বাস্তব সম্মত নয়।”

কেন্দ্রীয় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন খাঁন এ প্রসঙ্গে বলেন, “এ দেশে থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান হাসিনাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। অর্থের একটি বৃহৎ অংশ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচনে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যেতে পারে।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে এ দেশে ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র চলছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্র থামবে না। তারা চায় নির্বাচন বানচাল করতে। কিন্তু আমাদের ঈমানী দায়িত্ব হল এসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। এই জন্য আমাদের স্বোচ্চার এবং সচেতন থাকতে হবে।”

তিনি হামলায় আহত ভিপি নুরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “বিগত ১৭ বছর যিনি জনমানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে আসছেন, সেই আমাদের সহযোদ্ধা প্রিয় ভাইকে ফ্যাসিস্টরা রক্তাক্ত করেছে।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন