গণভোট ও পিআর ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। বিভিন্ন দাবি তুলে বিভ্রান্ত করবেন না।”
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়া বটতলী বজার এলাকায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমেছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো মনে হয় না। আপনাদের দাবিদাওয়াগুলো আপাতত বন্ধ রাখুন। আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর সংস্কার সনদে স্বাক্ষর হবে। কিসের সংস্কার? সংস্কার কাকে বলে? কি কঠিন কঠিন শব্দ। তারপরও আমরা করতেছি। কারণ সংস্কার হলো ঘরের টিন বদলানোর মতো। ঘরের দরজা বা টিন যেমন কয়েক বছর পরপর বদলাতে হয় তেমনি রাজনীতিতেও কিছু সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ও ছাত্ররা মনে করেছে দেশটাকে ঠিক করতে হলে সংস্কার করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা অতীতে সরকারে ছিলাম, সরকার কীভাবে চলে আমরা তা জানি। কীভাবে ভালো কাজ করতে হয় তাও জানি।”
তিনি বলেন, “বহুদল নির্বাচন করবে। এটাও বিএনপি সরকার নিয়ে এসেছে, একদল থেকে বহুদলীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রতিহিংসা ও বিভেদের রাজনীতি চাই না। আমরা চাই একটি শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক। আর ভাগাভাগি করিয়েন না। দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সবাই মিলে সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমি ১১ বার কারাগারে গেছি। শেখ হাসিনা আমাকে ভয় করতো, যে কারণে কারাগারে পাঠাতো। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমাদের অনেক ছেলে প্রাণ দিয়েছে। তাই আসুন সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করি।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা নির্বাচিত হলে ১ কোটি চাকরির ব্যবস্থা করব। প্রত্যেক পরিবারকে একটা করে কার্ড দেওয়া হবে, যে কার্ড নিয়ে কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে গেলে তারা তাদের গুরুত্ব দিতে বাধ্য হবেন। আমরা স্বাস্থ্য সেবাকে উন্নত করব। শিক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াব। কারিগরি শিক্ষায় আরো জোর দেব। পাশাপাশি আমরা কৃষি খাত নিয়ে কাজ করব।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই মিলে বাংলাদেশ। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব। এই দেশকে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে নেব।”
খুলনা গেজেট/এমএম

