বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

৫ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

গেজেট প্রতিবেদন

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এক যৌথ বিবৃতিতে জুলাই সনদের অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতির নিষিদ্ধকরণ, আগামী নির্বাচনে সমতল-মাঠ নিশ্চয়তা, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার এবং জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা গণদাবির পক্ষে দেশব্যাপী জনমত গঠনের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সমন্বয়ক হাসান জুনাইদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দেশ ভয়াবহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত; জনগণের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে পুরনো স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তারা দাবি করেছেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে অচল করে দিচ্ছে এবং জাতির মূল স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ইসলামী শক্তিকে দমিয়ে রাখার জন্য বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে এবং জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বিদেশি প্রভুদের খুশি করার নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে তারা সতর্ক করে বলেন, জনগণের ঈমানি চেতনা ও জুলাই বিপ্লবের গণআকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।

ঘোষিত কর্মসূচির মূল দাবানল ও পর্যায়সমূহ

১ অক্টোবর-৯ অক্টোবর: সারাদেশে গণসংযোগ জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি ও ৫ দফা গণদাবির পক্ষে মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল আলোচনা, সেমিনার ও অন্যান্য কর্মসূচি।
১০ অক্টোবর: রাজধানী ঢাকায় গণমিছিল।
১২ অক্টোবর: সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ।

বিবৃতিতে সংগঠনটি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, জনগণের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তারা আরও বলেন, ‘এই দাবি কেবল খেলাফত মজলিসের নয়- দল-মত ও ধর্ম নির্বিশেষে এ দেশের প্রতিটি মানুষের প্রাণের দাবি; স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইসলামী মূল্যবোধ ও জনগণের মৌলিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র পথ।’

তারা আরও বলেন, উক্ত কর্মসূচি সর্বশক্তি দিয়ে বাস্তবায়ন করার জন্য দেশের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ার করে বলেছেন যে, আর কোনো ছলচাতুরি বা কালক্ষেপণের সুযোগ নেই এবং জনগণের ধৈর্যের সীমা শেষ হয়ে এসেছে।

সংগঠনের এই ঘোষণার প্রতি রাজনৈতিক দল, নাগরিক সংগঠন ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছিল না; বিবৃতিটি প্রকাশের পর সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে সমালোচনা ও সমর্থন দু’ই রূপরেখা দেখা দিয়েছে। রেসপন্স বা মন্তব্য চাইলে সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করে পরবর্তী রিপোর্টে প্রকাশ করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন