দলের গঠনতন্ত্রের বাইরে নিজের ইচ্ছামত সার্বক্ষণিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন খুলনা জেলা সিপিবি’র সভাপতি। তিনি পেশায় চিকিৎসক। দলের গঠনতন্ত্রে সভাপতি সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে উল্লেখ থাকলেও তিনি তা উপেক্ষা করেন। এজন্য জেলা কাউন্সিলে তাকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে।
২০২২ সালের ২৭-২৮ জানুয়ারি দলের খুলনা জেলা শাখার একাদশ সম্মেলনে ডাঃ মনোজ কুমার দাস জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময় করোণার কারণে সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দিবস পালনের মধ্যে সাংগঠনিক তৎপরতা সীমাবদ্ধ ছিল।
দলের একটি সূত্রের ভাষ্য, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সার্বক্ষণিক কর্মী হবেন। তাদের জীবন যাত্রার সকল দায়-দায়িত্ব দলের। কিন্তু জেলা পর্যায়ের সকল কর্মকান্ডে তিনি অনুপস্থিত থাকেন। তার চৌহদ্দী মূলত খুলনা নগরী। সম্মেলন পরবর্তী গত ৪২ মাসে জেলা শাখার কোন বিকাশ হয়নি।
ফলে একটি অংশ তার বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। আগামী ২৮-২৯ আগস্ট দ্বাদশ জেলা সম্মেলনে তার সভাপতি পদের বিপরীতে নতুন মুখ হিসেবে উদয় হয়েছে ডাঃ ফরিদুজ্জামান। তিনি শক্তিশালী প্রার্থী। সরকারি চাকুরী পরিত্যাগ করে সার্বক্ষণিক কর্মী হয়েছেন। দলের অভ্যন্তরে দু’টি সমান্তরাল গ্রুপ দাঁড়িয়েছে।
জেলা পর্যায়ের অন্যতম নেতা মিজানুর রহমান বাবুর অভিমত, ‘জেলা সভাপতি সাংগঠনিক কার্যক্রমে আন্তরিক নন। তার ব্যক্তিগত ক্লিনিকেই সময় দেন সকাল-সন্ধ্যা। দুদিন ব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে একাধিক কাউন্সিলরের মুখোমুখি হতে হবে তাকে’।
অপর এক সূত্র জানান, পাঁচ বছর আগের তুলনায় এখন সাংগঠনিক কার্যক্রম স্বল্প পরিসরের। জেলা সম্পাদক পরপর চারবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠতে পারে। জেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স ২৭ আগস্ট নাগাদ খুলনায় এসে পৌঁছাবেন। জেলা কমিটির বিদ্যমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি অবহিত হলেও সেপ্টেম্বরে জাতীয় সম্মেলনের কারণে তিনি মুখ খুলবেন না।
খুলনা গেজেট/এএজে