মেয়াদ পূর্তির ছ’মাস আগে খুলনা জেলা সিপিবির সম্মেলনের আয়োজন। স্থানীয় শহীদ হাদিস পার্কে ২৮ আগষ্ট সম্মেলন ও উদ্বোধন ২৯ আগস্ট প্রেসক্লাবে কাউন্সিল। গঠনতন্ত্রের আলোকে জেলা কমিটির মেয়াদ চার বছরের। মেয়াদ পূর্তির ছয় মাস আগেই সম্মেলন। ২০২২ সালে ২৭-২৮ জানুয়ারি জেলা শাখার সব শেষ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়।
দলের সূত্রের ভাষ্য, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী তৃণমূল পযার্য়ের দল সংগঠিত হয়েছে। উপজেলা ও শাখাগুলো বেশ সক্রিয়। এই সূত্রের দাবি জাতীয় নির্বাচনে আশানুরুপ ফলাফলের জন্য নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন।
দ্বাদশ সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের এক প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গেল এক বছরে দেশের আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হয়নি। হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব নতুন ভাবে সংগঠিত হচ্ছে। মব সন্ত্রাস জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। দ্রব্যমূলের লাগামহীন উর্ধ্বগতি। শোষণ, বৈষম্য, নিরসনে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
প্রচারপত্রে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান, বিপ্লব বা দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়। সমাজের নানা সংকট চিহ্নিত করে লড়াই সংগ্রামের লক্ষে দলের জেলা সম্মেলনের আয়োজন। প্রচারপত্রে বন্ধ পাটকল রাষ্ট্রীয় মলিকানায় চালু, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ, শৈলমারী, শালতা নদী খননসহ ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।উদ্বোধনী পর্বের সভাপতি জেলা শাখার ডা: মনোজ কুমার দাস।
সম্মেলনকে সামনে রেখে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এ রশিদ দাবি করেন গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যুব সমাজের মনোজগতের পরিবর্তন হয়েছে। ফ্যাসিবাদী দূ:শাসনের আবসান হওয়ার পর প্রগতিশীল রাজনীতির বিকাশ হয়েছে। শোষণের বিরদ্ধে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রগতিশীলরা নতুন বার্তা দেবে। এবারের সম্মেলনের মধ্যদিয়ে নতুন নেতৃত্ব জেলাব্যাপি শোষণের বিরুদ্ধে শোষিতের লড়াইকে ত্বরান্বিত করবে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের জন্য এবারের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলাব্যাপি দলের সকল স্তরের কর্মীরা সংগঠিত হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসএস