জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আগামীতে জাতীয় সরকার ব্যবস্থায় দেশ পরিচালনা করবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিল, তাদের নিয়ে এই জাতীয় সরকার গঠিত হবে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী ছিল না।
সম্প্রতি দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমসাময়িক বিষয়ে একটি জাতীয় পত্রিকাকে সাক্ষাৎকারে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কয়েকটি দল অবশ্য আন্দোলনে ছিল না। তবে আমাদের সঙ্গে ছিল। আন্দোলন-সংগ্রামে কম-বেশি তাদেরও ভূমিকা ছিল। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারা দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছে, তাদের সঙ্গে আমরা ঐক্য ধরে রাখতে চাই। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই তারেক রহমান কাজ করতে চান। জাতীয় ঐকমত্য থাকলে দেশ গড়া সহজ হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ঐকমত্যের মাধ্যমে মাত্র ৪ বছরে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ দেশটাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী’ স্লোগানের মাধ্যমে ঐক্যের অভূতপূর্ব নজির সৃষ্টি করেছিলেন। আমরা তার দেখানো পথই অনুসরণ করব। এজন্য তারেক রহমান বলেছেন, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’। তবে জাতীয় সরকারে কে থাকবে, কে থাকবে না-এটা এখনো বলার সময় আসেনি।
বিএনপি থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পর আমরা সবাই মিলে জাতীয় সরকার গঠন করব। আমরা যারা ৩১ দফার সঙ্গে আছি এবং আলাপ-আলোচনা করে প্রস্তাবগুলো তৈরি করেছি, তারা সবাই মিলে সেগুলো বাস্তবায়ন করব। এটি একটি বিরাট কমিটমেন্ট। নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণাটা জাতির কাছে বিএনপির প্রতিশ্রুতি।
খুলনা গেজেট/এনএম