শুক্রবার । ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতি, গর্ত ও ধুলায় চরম ভোগান্তি!

দেবহাটা প্রতিনিধি

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় হয়নি সাতক্ষীরা-শ্যামনগর মহাসড়কের উন্নয়ন। ফলে নামমাত্র জোড়াতালি আর পুটিং করে চলছিল দীর্ঘ এই সড়কটি। ফলে চারটি উপজেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষ এই সড়কের বেহাল দশার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন। এদিকে দীর্ঘ ভোগান্তির অবসানের আশা দেখায় সড়কটি উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায়। কিন্তু তা চলছে ধীরগতিতে।

সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্য মতে, সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণের এই বৃহৎ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৬২.৩২৫ কিলোমিটারে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৫৬৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে লাবনী মোড় থেকে বাঁকাল চেকপোস্ট, বাঁকাল চেকপোস্ট থেকে পারুলিয়া গরুরহাট, পারুলিয়া থেকে হাদীপুর, নলতা হাদীপুর থেকে কালিগঞ্জ ফুলতলা, কালিগঞ্জ ফুলতলা থেকে শ্যামনগর মহসিন কলেজ, শ্যামনগর মহসিন কলেজ থেকে ভেটখালি সম্প্রসারণ করা হবে সড়কটি। প্রকল্পটির কার্যাদেশে বলা আছে, ৩০জুন ২০২৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। যদিও প্রকল্পের মোট মেয়াদ পাঁচ বছর, ইতোমধ্যেই তিন বছর অতিক্রম হয়েছে।

‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ, সড়ক পথে সুন্দরবন’ স্লোগান থাকা সত্ত্বেও সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের বেহাল দশা চলছেই। আগের সরকারের সময় একবার এই সড়কটি একনেকে পাস হয়েছিল। তবে এরপর আর কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে সড়কটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির কারণে খানাখন্দ এত বড় হয়েছে যে, সড়কটি চলাচলের জন্য একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা শ্যামনগর ও সুন্দরবনের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ঠিক রাখতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, আলিপুর বাজার, আলিপুর শ্মশান, কুলিয়া সহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৬টি স্থানে ইটের সোলিং করে চলাচলের ব্যবস্থা নিয়েছে। পাকা রাস্তার ওপর ইটের সোলিং করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলছেন অনেকেই।

গাড়ি চালক মিলন হোসেন বলেন, “একদিকে রাস্তা খারাপ আর অন্যদিকে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এতে দিনের বেলা যানজট হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সঠিক সময় যাত্রী ও মালামাল পৌঁছাতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। যদি ঠিকাদারের লোক রাতের বেলা বেশি জনবল দিয়ে কাজ করেন তাহলে জনভোগান্তি কম হবে।”

এদিকে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ দুর্ভোগ কমানোর আশ্বাস দিয়ে বলেন, “সাতক্ষীরা-শ্যামনগর মহাসড়কের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকারের এ সংস্কার কাজ আগামী জুন মাসে শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও আরও এক বছর লেগে যেতে পারে।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন