Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২১শে আগস্ট, ২০২৫ । ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলাকে একীভূত করে সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা-৪ ঘোষণার সরকারি প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদ জানিয়ে আসন পুনর্বিন্যাসের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, শ্যামনগর ভৌগোলিকভাবে বিস্তীর্ণ, জনবহুল এবং জলবায়ুগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ একটি উপজেলা। দীর্ঘদিন ধরে জনগণের স্বার্থে এটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন হিসেবে রাখার দাবি জোরালো ছিল। কিন্তু আশাশুনির সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত স্থানীয় জনগণের মতামতের পরিপন্থী। এতে জনদুর্ভোগ বাড়বে, প্রশাসনিক সেবা জটিল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।

স্মারকলিপি প্রদানের পর উপজেলা আমীর আব্দুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৯ বছর শ্যামনগর একটি স্বাধীন সংসদীয় আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরার পাঁচটি আসনকে চারটিতে রূপান্তর করে। বর্তমানে আবারও শ্যামনগর-আশাশুনি একীভূত করার সিদ্ধান্ত সেই ষড়যন্ত্রেরই ধারাবাহিকতা, যা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে।

তিনি দাবি করেন, শ্যামনগরকে আলাদা আসন বা সাতক্ষীরা-৫ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে অন্তত পূর্বের নিয়মে শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আসন বহাল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শ্যামনগর একটি নদীবিধৌত ও ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন এলাকা। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখানকার মানুষ ইতিমধ্যেই ভোগান্তিতে আছেন। এর সঙ্গে আশাশুনিকে একীভূত করলে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ব্যাহত হবে এবং প্রশাসনিক সেবা নিতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। এতে জনদুর্ভোগ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলাম, উৎসর্গ সোসাইটির চেয়ারম্যান গাজী আব্দুর রউফ, ছাত্র প্রতিনিধি মাছুম বিল্লাহসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ।

অন্যদিকে, সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের দাবিতে কালিগঞ্জ উপজেলাবাসীর পক্ষে পৃথক আরেকটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল বরাবর এই স্মারকলিপি জমা দেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী নজরুল ইসলাম।

খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন