আদিবাসীদের সংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও পথসভা করেছে বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন। শনিবার (৯ আগষ্ট) বেলা ১০ টায় সাতক্ষীরা পাকাপোলের মোড়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ, এইচআরডিএফ, সিডো সংস্থা, বারসিক, সিএসও এইচআরডি কোয়ালিশন সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সাতক্ষীরা, সৃজনী মহিলা লোক কেন্দ্র, আশা লোক কেন্দ্র, হেড, ক্রীসেন্ট, নবদিগন্ত, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজন অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
স্বদেশ সংস্থার নির্বাহি পরিচালক মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত এর সভাপতিত্বে ও সিডো সংস্থার পরিচালক শ্যমল বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন কর্মি বজলুর রহমান, বিশেষ সামাজিক প্রতিনিধি বায়োজিদ হাসান, যুব প্রতিনিধি ইসাত হোসেন, হৃদয় মন্ডল, জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরার সহসভাপতি শামিমা সুলতানা, প্রফেসর ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আদিবাসীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্য, ভূমি দখল এবং অধিকার হরণের শিকার হন। তাদের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি এবং ভাষা প্রায়শই অবহেলিত এবং হুমকির সম্মুখীন হয়। জাতিসংঘের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিশ্ববাসীর সংহতি সৃষ্টি করা এবং তাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করা।
বক্তারা আরও বলেন, আদিবাসিরা দিনদিন পিছিয়ে পড়ছে, তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিসহ ভূমির অধিকার হারাচ্ছে। ভূমির অধিকার ও সংস্কৃতি বজায় রাখতে তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। সরকারিভাবে তাদেরকে ক্ষুদ্র জাতী ও নৃগোষ্ঠী বলা হচ্ছে সেটা তাদের অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি করে। আধুনিককতার প্রযুক্তির যুগে তাদের অভিগম্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।
সভায় বলা হয়, বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৯৪ সালে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং তাদের অধিকারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯ আগস্ট দিনটিকে বিশ্ব আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। প্রথম বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালিত হয় ১৯৯৫ সালের ৯ আগস্ট। এই দিনটি নির্বাচিত হয়েছিল কারণ ১৯৮২ সালের এই দিনে জাতিসংঘে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সম্মান, অধিকার এবং সংস্কৃতি রক্ষা করা।
খুলনা গেজেট/এনএম