নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ঝামারঘোপ খালের উপর নির্মিত সেতুটি এখন এলাকার মানুষের জন্য আতঙ্কের নাম। প্রায় দুই দশক আগে নির্মিত এই সেতুটি পাঁচ থেকে সাত বছর আগে আংশিক ভেঙে পড়লেও আজও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষ সেতুটি পারাপার করছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ঝামারঘোপ খালের উপর ১৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মিত হয়। এটি নড়াইল ও মাগুরা জেলার সীমান্তে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পথ। প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কৃষক, দিনমজুর, ব্যবসায়ী এমনকি অসুস্থ রোগীরাও এই ভাঙা সেতু দিয়ে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয় জানান, কয়েক বছর আগে সেতুর এক প্রান্ত ধসে গর্ত হয়ে যায় এবং ভেতরের রড বেরিয়ে পড়ে। চার বছর আগে একটি ট্রাক চলার সময় সেতুটি হেলে পড়ে। পরে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে কাঠের তক্তা বসিয়ে অস্থায়ীভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। এখন ইজিবাইক, ভ্যান, ঘোড়ার গাড়ি কিংবা ভটভটি পার হলে কেঁপে ওঠে পুরো সেতু। সেতুর নিচের দু’টি গার্ডারের একটি ধ্বসে পড়ায় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
খলিশাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, “প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে সেতু পার হয়ে স্কুলে যাই। নিচে তাকালে মনে হয় পড়ে যাব। কিš যাওয়ার আর কোনো পথ নেই।”
খলিশাখালী গ্রামের ব্যবসায়ী বলেন, “এই সেতু ভাঙা থাকায় মাগুরা জেলা থেকে নড়াইলের মিঠাপুর হাটে যেতে ৮ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এতে সময়, খরচ ও ভোগান্তি সবই বেড়ে গেছে। কোনো রোগীকে মাগুরা নিতে হলে ২০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।”
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নড়াইল জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার ইকরামুল কবির বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যেই নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে। আশা করছি, এক বছরের মধ্যেই কাজটি শেষ করা যাবে।”
খুলনা গেজেট/এনএম
								
    
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
