নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব সীমাখালী গ্রামে একটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে চয়ন নন্দী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
চয়ন নন্দীর পরিবারের অভিযোগ করে, এক মাস আগে চয়নের জমজ দুই সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই সময় একই গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক কনোক মজুমদার শিশুদের চিকিৎসা দেন। কিন্তু তার দেওয়া ওষুধ খেয়ে শিশুদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, ভুল চিকিৎসা ও ওষুধ প্রয়োগের কারণে এমনটা হয়েছে।
শুক্রবার ওই চিকিৎসক কনোক মজুমদার চয়ন নন্দীর বাড়ির পাশে আরেকজন রোগী দেখতে গেলে, পূর্বের ঘটনার সূত্র ধরে কনোক ও চয়নের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কনোক চয়নের গায়ে হাত তোলেন এবং পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
চয়ন অভিযোগ করেন, কিছুক্ষণ পর কনোক ও তার লোকজন মিলে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে শুধু চয়নের স্ত্রী ছিলেন। হামলাকারীরা জানালার কাঁচ, চেয়ারসহ ঘরের বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে। এছাড়া ঘরে গরু বিক্রির টাকা হিসেবে রাখা নগদ দুই লাখ টাকা এবং প্রায় চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত কনোক মজুমদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি চয়নের বাড়িতে যাইনি, বরং পূর্ব শত্রুতার জেরে ওরা আমাকে চিকিৎসার কথা বলে ফোন করে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে। ভুল চিকিৎসার অভিযোগও সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
খুলনা গেজেট/এসএস