শুক্রবার । ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন

জুলাই-আগস্ট হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রেস সচিব

মাগুরা প্রতিনিধি

জুলাই-আগস্ট হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এটা আমাদের শপথ, আমাদের অঙ্গীকার। চব্বিশের জুলাইয়ের আন্দোলনে দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যা করেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যার চিত্র।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল- যাকে ঢাকার কসাই হিসেবে চিনি- তাদের দু’জনকেই আমরা ফেরত চাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারে তাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। আমরা চাই তাদের দেশে এক্সট্রাডিশন করা হোক। তাদের আপিল করার অধিকার আছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তাদের রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যাদের হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে, তাদের প্রত্যেককে আমরা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনব- এটা শহীদদের কাছে আমাদের দায়, আমাদের শপথ।”

তিনি বলেন, “আমরা কোনো ‘মাইনাস ফোর’- এর কথা বলিনি। যারা এসব বলছে তারা স্বৈরাচারের দোসর। যিনি মাইনাস হয়েছেন, তিনি হত্যাযজ্ঞ করে মাইনাস হয়েছেন। তিনি পরিবার নিয়ে চোরতন্ত্র চালু করেছিলেন, সেই কারণেই তিনি মাইনাস হয়েছেন। খালেদা জিয়া আমাদের জাতীয় নেতা, সাধারণ মানুষের নেতা। তিনি শুধু বিএনপির নয়। আমরা তার সুস্থতা কামনা করি, তিনি দেশে ফিরে আসুন- বাংলাদেশের জন্য তার উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা চাই তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, “একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে। আমরা চাই দেশে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।”

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল কাদের, মাগুরা পৌর প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা ক্রীড়া অফিসার বিএম সাজিন ইসরাত এবং ক্রীড়া সংগঠক বারিক আনজাম বারকি উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন