বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান মাশরুম গ্যানোডার্মা চাষ করে সফল হয়েছেন মাগুরার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মাশরুম উদ্যোক্তা বাবুল আক্তার। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে গ্যানোডার্মা মাশরুম উৎপাদন ও বিপনণের আশা করছেন তিনি। চারশোর বেশি কর্মী কাজ করছে বাবুলের এই মাশরুম ব্যবসায়।
বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ও ওষুধি গুণসম্পন্ন মাশরুম ‘গ্যানোডার্মা’। বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার এ জাতের মাশরুম চাষের চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি। তবে নিজের চেষ্টায় গ্যানোডার্মা মাশরুমের ব্যাপক ফলনে সফল হয়েছেন মাগুরার বাবুল আক্তার।
মাগুরার সফল মাশরুম উদ্যোক্তা বাবুল আক্তার বলেন, ‘সুখের বিষয় হচ্ছে যে এদেশে এবার সবোর্চ্চ গ্যানোডার্মা মাশরুম উৎপাদনের ব্যবস্থা নিয়েছে মাগুরার ড্রীম মাশরুম সেন্টার। ইতিমধ্যে আমরা ত্রিশ লক্ষ স্পঞ্জ তৈরি করেছি এবং সেখান থেকে আশা করছি যে প্রায় পনের থেকে বিশ টন আমরা গ্যানোডার্মা মাশরুম উৎপাদন করতে পারব। আর এখান থেকে আমরা প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ কোটি টাকা মাশরুম উৎপাদন হবে।’
বাবুল আক্তারের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মাগুরার বড়খড়ি এলাকার শতাধিক পরিবার এখন মাশরুম উৎপাদন করছে। তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি এখন এই মাশরুম উৎপাদন করে আমার এই ঘরটি বানাতে পারছি। গত বছরে আমি প্রায় দু’শ কেজি মাশরুম উৎপাদন করেছি।’
বাবুলের ‘ড্রীম মাশরুম সেন্টার’কে ঘিরে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
গ্যানোডার্মা মাশরুম উৎপাদনে স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করছে মাগুরা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মাগুরা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক বলেন, ‘ঘরে বসে উপার্জনের জন্য এটি একটি পদ এখানে সৃষ্টি হয়েছে। এখানে অনেক উদ্যোগী কৃষক আছেন, উনার আওতাভুক্ত, তাদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন এবং দিবেন।
বাবুল আক্তারের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও অনেকে গ্যানোডার্মা মাশরুম চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

