Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ২২শে আগস্ট, ২০২৫ । ৭ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
৯০ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খুবি উপাচার্য

বঙ্গমাতার ধৈর্য্য ও সঠিক সিদ্ধান্ত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে অসীম প্রেরণা যুগিয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয় ৮ আগষ্ট শনিবার সন্ধ্যায়।

করোনা মহামারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে এবারের এ অনুষ্ঠান সীমিত আনুষ্ঠানিকতায় পালন করা হয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

পরে তিনি এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মহীয়সী বঙ্গমাতার ধৈর্য্য, ত্যাগ ও দৃঢ়চিত্ত ভুমিকা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে অসীম প্রেরণা ও শক্তি যুগিয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পিছনে বঙ্গমাতার অসামান্য ত্যাগ ও অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তাঁর জীবনের শেষ পর্যন্ত স্নেহ, মমতার পাশাপাশি সংকটে দৃঢ়চিত্ত থেকেছেন, সঠিক সিদ্ধান্তটাই দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর বাসায় সবসময়ই দু’একশ নেতা-কর্মী কিংবা সাধারণ মানুষের ভিড় থাকতো এবং চুলা প্রায় নিভতই না। কিন্তু বঙ্গমাতা কখনও অধৈর্য হতেন না, তিনি পরম সহিষ্ণু ছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আগের রাতের এবং দুপুরে বঙ্গমাতার ভূমিকা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিষয়ে পরামর্শসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বঙ্গমাতার এসব নেপথ্য ভূমিকা ও দূরদর্শীতারই ফলশ্রুতিতে আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র লাভ করি। তিনি এই মহীয়সী নারীর ৯০তম জন্মদিনে তাঁর প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। উপাচার্য বঙ্গমাতার ওপর আরও গবেষণার আহবান জানান।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আয়েশা আশরাফের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, অন্যান্য হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন