খুলনায় গৃহবধূ শিউলী বেগম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছেলে রিয়াদকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার নিহতের ভাই বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ১০ ডিসেম্বর রাতে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নীচ তলা থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর তার ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা লুট হয়। হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও ছেলে রিয়াদের সন্ধান মেলাতে পারেনি।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ‘শিউলী বেগম দু’বছর আগে সৌদি আরবে যান। ২৭ অক্টোবর দু’মাসের ছুটিতে দেশে আসেন। ১০-১২ দিন পূর্বে তিনি উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা হতে প্রায় পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। তিনি নগরীর ট্যাংক রোড এলাকার রবিউল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে দ্বিতীয় স্বামী ও ছেলে রিয়াদকে নিয়ে বসবাস করতেন। ৫ ডিসেম্বর চাচার মৃত্যুর কারণে বর্তমান স্বামী গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে চলে যান। ৯ ডিসেম্বর রাত ৯ টার দিকে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তার স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যায়।
পরে দ্বিতীয় স্বামী সাগর শিউলী বেগমকে মোবাইলে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে বাড়িতে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে তাকে না পেয়ে মেয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে আশপাশের লোকজন দরজার তালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে শিউলী বেগমকে মৃত অবস্থায় বিছানার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। মেয়ে রুবিনা আক্তার উপস্থিত অন্যান্য লোকজনের উপস্থিতিতে ঘর তল্লাশি করে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা পৌনে ৭ টাকা কোথাও খুঁজে পায়নি। পরবর্তীতে থানার পুলিশ নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় মোঃ রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৪।’
খুলনা থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান বলেন, “মা হত্যার দায়ের ছেলে বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ছেলে রিয়াদকে আমরা খুঁজছি। তাকে পেলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
খুলনা গেজেট/এনএম

