এবার খুলনায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজ। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়েছে কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা। ফলে বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা। অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনছেন নিত্য এই পণ্যটি। ঝাড়ছেন ক্ষোভও।
হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির পেছনে ঠুনকো অজুহাত আর সিন্ডিকেটকেই দুষছেন তারা। বিক্রেতারা বলছে, সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, নতুন পেঁয়াজ আসছে, অচিরেই দাম কমে যাবে।
নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, ময়লাপোতা, রূপসা, শেখপাড়াসহ বিভিন্ন বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খালিশপুর চিত্রালী বাজারের বিক্রেতা মাসুদ আসিফ বলেন, “পেঁয়াজ দু’দিন আগে ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি করেছি। সরবরাহ কম, তাই গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে দাম বেড়েছে। শুক্রবার ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে কেজি প্রতি ১৪০-১৫০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। শিগগিরি হয়তো দাম কমে যাবে।”
দৌলতপুর বাজারের বিক্রেতা নূর ইসলাম বলেন, “হঠাৎ করেই বেড়েছে দাম। গতকাল শুক্রবার বাজারে ১১০ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৪৪ টাকায়।”
খালিশপুরে এক ক্রেতা আহসান উল্লাহ বলেন, “১১০ টাকা কেজিতে বুধবারও পেঁয়াজ কিনেছি। বাজারে এসে দেখি পেঁয়াজের দাম ১৪০ টাকা। প্রতিদিনই প্রয়োজন হয়, অথচ একলাফে দাম বেড়ে গেল ৩০ টাকা। এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি কিনা বুঝতে পারছি না। এটি খতিয়ে দেখা উচিত।”
আরেক ক্রেতা সবুজ বলেন, “দাম বাড়ার যৌক্তিক কোন কারণ দেখি না। বলছে সরবরাহ কম, এটি অজুহাত। এখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। দাম কমার কথা। অথচ বাড়ছে। এটি তদারকির প্রয়োজন।”
রূপসা বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মোঃ মজনু বলেন, “তিনদিন আগে পেঁয়াজ এনেছিলাম ৯০ টাকা কেজি করে। সেই পেঁয়াজ ১০০ টাকা-১০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। আমার পেঁয়াজ বড় এবং বাছাই করা। শুক্রবার পেঁয়াজ কিনেছি কেজিতে ৪০ টাকা বেশিতে। এই পেঁয়াজ ১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। সরবরাহ কম, তাই দামও বেশি। আমরা বেশি দামে কিনছি, অল্প লাভে বিক্রি করছি।”
ওই বাজারের ক্রেতা লায়েক মোল্লা বলেন, “বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ কিনেছি ১১০ টাকা কেজিতে। সেই পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা কেজি। এমন হলে আমরা বাঁচব কি করে।”
আরেক বিক্রেতা মোঃ খোকন সরদার বলেন, “পেঁয়াজের মৌসুম শেষ এইজন্যই হঠাৎ দাম বেড়েছে তবে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে হয়ত কিছুদিনের মধ্যেই দাম কমতে শুরু করবে।”
এ প্রতিবেদকের কথা হয় পেঁয়াজ কিনতে আসা আলি হোসেনের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এই দেশে কখন কীসের দাম বেড়ে যায় আমরা বুঝতে পারি না, বাজারে এসেছিলাম বাজার করতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেশি চাওয়ায় পেঁয়াজ না কিনেই আজ ফিরে যাচ্ছি।”
খুলনা গেজেট/এনএম

