বাগদা/ভেনামী চিংড়ির বৈচিত্র্যময় মূল্য সংযোজিত পণ্য উৎপাদনের দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) যৌথ উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার ফিশারিজ ট্রেনিং শ্রিম্প টাওয়ারে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ কামরুল আলমের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক (উপসচিব) জিনাত আরা আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক পলাশ কুমার ঘোষ।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি চিংড়ি ও মৎস্য খাতটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ রপ্তানীখাত ও দেশের আর্থিক উন্নয়নের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে এ খাতের উন্নয়নে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যরো প্রয়োজনীয় সব কিছু করবেন বলে আশ্বাস দেন।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, “এ খাতের সাথে ৫০ লাখ লোক জড়িত যার অধিকাংশই নারী। অতীতে এ খাতটি দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত ছিল। অতীত সরকারের উদাসীনতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হেতু অধিক ফলনশীল ভেনামী জাতের চিংড়ি চাষের অনুমোদন না দেওয়ায় ভারতের তুলনায় চিংড়ি চাষযোগ্য জমি বেশী থাকা সত্ত্বেও দেশ উৎপাদনে অনেক পিছিয়ে আছে।”
এখন সরকার অধিক ফলনশীল ভেনামী চিংড়ির চাষের অনুমোদন দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হেক্টর প্রতি বাগদা চিংড়ির উৎপাদন যেখানে ৫০০ কেজি সেখানে ভেনামী ১৫০০০ কেজি। তিনি আশা প্রকাশ করেন সরকারের সহযোগিতায় সকল বাধা কাটিয়ে আগামীতে এ খাত হতে ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।”
খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট অঞ্চলের হিমায়িত মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার চিংড়ির মূল্য সংযোজিত পণ্য উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, হ্যাচারি কর্মী, সাংবাদিকসহ আরো অনেকে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম

