মঙ্গলবার । ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ । ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

জলমায় শহররক্ষা বাঁধে ভাঙন বাড়ছে

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা

বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের শহররক্ষা বেড়িবাঁধের ভাঙন নিয়ে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খুলনা গেজেট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের তিনদিন অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসী হতাশ। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে যে কোন মুহূর্তে ভেঙে প্লাবিত হতে পারে জলমা ইউনিয়নসহ খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কচুবুনিয়া মহাশ্মশান ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তেঁতুলতলার সংযোগ স্থলে শহররক্ষা বেড়িবাঁধে হঠাৎ করে গত শনিবার সকাল থেকে ভাঙন শুরু হয়ে গতকাল সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে উক্ত স্থানে রাস্তার পাশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ এর পিলারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সমিতি। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে জলমা ইউনিয়নের বড় বড় জণগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ শহরের প্রধান প্রধান কার্যালয় গুলো পানি নিচে তলিয়ে যেতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, স্থানীয় নদী ভাঙন উপকূলীয় এলাকাবাসী জানায়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে উক্তস্থান থেকে রাতের আধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন লাগার মূল কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন। এলাকাবাসী এখনও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
অপরদিকে, শহররক্ষা বেড়িবাঁধের উক্ত স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন সময়ে হোয়াইট ওয়াশ হিসেবে বিল ভাউচারের জন্য সামান্য কাজ করলেও বাস্তবে সব সময় ঝুঁকি থেকেই গেছে। এ ব্যাপারে জলমা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান পার্থ রায় মিঠু বলেন, কচুবুনিয়ায় শহররক্ষা বেড়িবাঁধে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আমি সরেজমিন গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানকে অবগত করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছি। সেই মোতাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মিটিংয়ে বসেছেন এবং মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) থেকে ভাঙনে কাজ শুরু হবে বলে জানান।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন