শনিবার । ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২

গরুর লাম্পি স্ক্রিন ডিজিজ নির্মূলে খুলনায় মাত্র ০.৬ শতাংশ ভ্যাকসিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণের কৃষি অর্থনীতির বড় জেলা খুলনা অ্যানথ্রাক্সমুক্ত হয়েছে। বছরব্যাপী লাম্পি স্ক্রিন ডিজিজ নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর হিমশিম খায়। রোগাক্রান্ত পশু নিয়ে সরকার বারবার সতর্ক করেছে। হাটে বাজারে কৃষক লোমবিহীন চামড়ার গরু বিক্রি করতে পারেনি। দুধ ও মাংস উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে অধিদপ্তর গত মাসে জেলা জুড়ে এলএসডি ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। জেলায় পাঁচ লাখ সাত হাজার গরুর মধ্যে তিন হাজার ৪০টির ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ধারাপাতের হিসেবে মাত্র দশমিক ছয় শতাংশ।

বর্ষার শেষে, শরতের শুরুতে বা বসন্তের শুরুতে এ রোগ দেখা যায়। মশা-মাছির বেশি বিস্তারের সময় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। গরু ছাড়া মহিষের শরীরেও এর জীবাণু প্রবেশ করে। মানুষকে আক্রমণ করে না। অন্যান্য কীট-পতঙ্গের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। আক্রান্ত পশুর লালাও খাবারের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গাভির দুধেও এ ভাইরাস থাকে। এ দুধ পান করে বাছুর আক্রান্ত হতে পারে।

জেলার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, দিঘলিয়া, তেরখাদা ও রূপসা উপজেলায় সারা বছর এ রোগ পিছু ছাড়ছে না। বছর ধরে প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভ্যাকসিন দেওয়ার সুযোগ থাকে না। তুর্কির উৎপাদিত এলএসডি ভ্যাকসিন অক্টোবর জুড়ে জেলায় সরবরাহ করা হয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, ৯ উপজেলা অ্যানথ্রাক্সমুক্ত। লাম্পি ডিজিজ মুক্ত করতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। রোগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র তথ্য দিয়েছেন ২০২৩ সালে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দাকোপ উপজেলায় শতাধিক গরু মারা যায়। কামনিবাসিয়া, খেজুরিয়া, বাজুয়া ও পানখালী এলাকার একাধিক কৃষক ও গরু আক্রান্ত হয়। কৈলাশগঞ্জ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সিন্ধু রায়, বিজন রায়, তুষার গাইন, সুধীর বৈদ্য জানান, “গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন