পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুপোতা ও পুটিমারী এলাকার সংযোগ ব্রিজ নদীতে ধসে পড়েছে। গত বুধবার গভীর রাতে আকস্মিকভাবে ধসে পড়ে। দু’এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজটি হঠাৎ ধসে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ শিক্ষার্থীসহ দু’এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে উলুবুনিয়া নদীর উপর ২০০০ সালে তৎকালীন সরকার ব্রিজটি নির্মাণ করেন। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে পুটিমারী ও লতা ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগের অবসান ঘটে। দু’পাড়ে তিনটি বিদ্যালয় ও তিনটি বাজার ও এলাকাবাসীরা সহ সর্বসাধারণ স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করেন এ ব্রিজ দিয়ে। এদিকে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সর্বসাধারণ। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজান সানা জানান, ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর দেয়নি। এটা ভেঙে পড়ায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
শামুকপোতা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিশিকান্ত মন্ডল বলেন, “এই ব্রিজ দিয়ে পুটিমারীর স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজন পারাপার হয়ে আসছিল। কিন্তু গত বুধবার রাত আনুমানিক তিনটার দিকে বিকট শব্দে ব্রিজটি ধসে পড়ে। এখন উভয় পারের লোকজন পারাপারে ভোগান্তিতে পড়েছে।” অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি সংস্কার করে পারাপারের উপযুক্ত করার দাবি জানান তিনি।
এ দিকে ব্রিজটি ধসে পড়ার খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন ও উপজেলা প্রকৌশলী সাফিন সোহেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী সাফিন সোহেব বলেন, “বর্তমানে এখানে পুনরায় পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা সময় সাপেক্ষ, প্রসেসিং ও অর্থের প্রয়োজন। এ কারণে ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় আপাতত কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে জনভোগান্তি দূর করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, “জনভোগান্তি লাঘবে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম

