নগরবাসীর বিনোদনের জন্য ময়ূর নদীর কোল ঘেঁষে লিনিয়ার পার্ক নির্মাণ করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। নদীর পাশে গাছগাছালি ভরা পার্কটির মনোরম পরিবেশ কিছুটা স্বস্তি দেবে ভ্রমণপিয়াসুদের-এমন প্রত্যাশা ছিল সবার। ঘটেছে তার উল্টোটি, পার্কে বেড়াতে আসা তরুণ-তরুণীদের অসামাজিক কার্যকলাপে নষ্ট হচ্ছে পার্কের পরিবেশ। বিশেষ করে উন্মুক্ত পরিবেশে উঠতি বয়সী তরুণ-তরণীদের অবাধ মেলামেশা বিব্রত করছে পার্ক সংলগ্ন এলাকার মানুষকে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রোডে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে পার্কের ভেতরে গিয়ে প্রতিবেদক নিজেই বিব্রত হন। দেখা যায়, স্কুল ও কলেজের পোশাক পড়া প্রেমিক যুগলরা আপত্তিকর অবস্থায় বসে আছেন। পার্কের গাছ ও স্থাপনার আড়ালে এমন অসংখ্য জুটিকে বিব্রতকর অবস্থায় দেখা গেছে।
একটি যুগলের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, রাস্তা ঘাটে বেড়ানোর পরিবেশ নেই। তাই পার্কে ঘুরতে এসেছেন।
পার্কের পাশেই আবাসিক এলাকা। সীমানা প্রাচীর না থাকায় ভেতরের কর্মকান্ড বাইরে থেকেও দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা অসহায় ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা থাকে, আমার ছেলে-মেয়ে আছে। আমরা দিনের আলোয় স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারছি না। ছাদ তো দূরের কথা, জানালা খুলব, তারও উপায় নেই। ছাত্রীরা আমার মেয়ের মতো, তারা বারবার অভিযোগ জানালে আমি কর্তৃপক্ষকে জানাই। তারা লোক দেখানো গার্ড পাঠায়, কিন্তু তারা চলে গেলেই অপকর্মের হাট আবার বসে যায়’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাইম মল্লিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পার্কেও দিকের জানালা খুললেই আপত্তিকর দৃশ্য চোখে পড়ে। সারাদিনই এমন চলে। ‘ওয়েটিং লিস্টে’ দাঁড়িয়ে থাকার মতো, একজন যায়, আরেকজন আসে! দিনের আলোয় প্রকাশ্য এই নগ্নতা ও নৈতিক অবক্ষয় আমাদের মাথা হেঁট করে দিচ্ছে।”
কেসিসি থেকে জানা যায়, নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য গল্লামারীর ময়ূর নদীর পাড়ে ২০০৯ সালে লিনিয়ার পার্কের নির্মাণ প্রকল্প নেয়া হয়। প্রায় ১৪ একর জমির ওপর ২০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পার্কটি নির্মাণ করা হয়। পার্কটির আর্কষণীয় দিক হলো, নদীর তীরঘেঁষে হাটার জন্য রয়েছে এটি ১ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার লম্বা ওয়াকওয়ে। যা নগরবাসীর বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয়।
চলমান অসামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে কেসিসির এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য চাননি। তিনি প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তার কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম
								
    
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
