বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২

আগামী সপ্তাহে খুলনার নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তর

জাহিদুল সাগর

খুলনা জেলা নতুন কারাগার পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও বন্দি স্থানান্তর শুরু করতে যাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। আগামী সপ্তাহে ১০০ বন্দি যাবে নতুন কারাগারে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে নেওয়া হবে বাকি বন্দিদের। খুলনা জেলা কারাগার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হোসাইন বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে নতুন কারাগারে বন্দিদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তবে প্রশাসনিক জটিলতা থাকলে এক-দুই দিন পিছিয়ে যেতে পারে। প্রথম ধাপে আমরা ১০০ বন্দিকে নতুন আধুনিক কারাগারে স্থানান্তর করবো। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বন্দিদের নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলেও পুরাতন (বর্তমান) কারাগারেও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে নতুন করাগারটি জেলার কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া বর্তমান জেলখানা ঘাট এলাকায় থাকা কারাগারটি মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, খুলনায় দুটি কারাগার চলমান রাখার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি গেজেট হিসেবে প্রকাশ করা হলে পৃথক নামে দুটি কারাগার আলাদাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কার্যক্রম শুরু হলে দুই কারাগারে জেল সুপার এবং জেলার আলাদা আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে বর্তমান কারাগারের কর্মকর্তারাই দুটি কারাগারের দায়িত্ব পালন করবেন।

খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হোসাইন বলেন, নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলে বন্দি চাপ থাকবে না। তিনি বলেন, নতুন কারাগারে এখনও মাটি ভরাট কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এছাড়াও ছোট ছোট কাজ রয়েছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই কাজগুলো শেষ হবে। বর্তমানে খুলনার কারাগারে ১ হাজার ৪০০ এর অধিক বন্দি রয়েছে। নতুন কারাকারে কিছু বন্দি সরিয়ে নিলে চাপ কিছুটা কমে যাবে।

প্রসঙ্গত, গণপূর্ত বিভাগ থেকে জানা গেছে, ‘খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ’ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয় ২০১১ সালে। ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। এরপর ৮ বার প্রকল্পের সময় বেড়েছে, দুই দফা সংশোধনের পর ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২৮৮ কোটি টাকা। খুলনার সিটি (রূপসা সেতু) বাইপাস সড়কে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর নতুন কারাগার নির্মাণ হচ্ছে। মাস্টারপ্লান অনুযায়ী নতুন কারাগারে ৪ হাজার বন্দি থাকতে পারবে। আপাতত ২ হাজার বন্দি রাখার অবকাঠামো তৈরি হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন