দ্রুত খুলনা চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন খুলনা শীর্ষ স্থানীয় বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতারা। নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাণিজ্যিক সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় আমদানি-রপ্তানিসহ ব্যবসা পরিচালনায় নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা।
চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক নিয়োগের ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হলেও নির্বাচন হয়নি। এর ফলে ব্যবসায়ী মহলে চরম উদ্বেগ ও অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে রপ্তানি ও আমদানি নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্য সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সঠিক সময়ে নির্বাচন না হওয়ায় ফেডারেশনে প্রতিনিধিও পাঠানো সম্ভব হয়নি, যা আমাদের ব্যবসায়িক স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ পরিস্থিতিতে খুলনার সকল ব্যবসায়ী মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। চিঠিতে অতিসত্বর নির্বাচন কমিশন গঠন করে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরণী নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শেখ কামরুল আলম, মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদ হোসেন, খুলনা ডিস্ট্রিক ইম্পোর্টাস গ্রুপের সভাপতি আবদুল হামিদ সরকার, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সাধারণ সম্পাদক শংকর কর্মকার, খুলনা বিপনী কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম, খুলনা বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ দেওয়ান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়অর্দী বিপনী কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোড়ল, আবদুল জব্বার বিপনী বিতান ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সচিব মুন্সী আঃ সালাম, খুলনা বড় বাজার ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম, বৈদ্যুতিক ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম এমদাদুল হক, ডাকবাংলো সুপার মার্কেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ ও শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান।

