বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২
আটক তিন যুবকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নিরালায় সন্ত্রাসী হামলার টার্গেট ছিল জনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার নিরালা তালুকদার কমপ্লেক্সের সামনে সন্ত্রাসী হামলার মূল টার্গেট ছিল জনি নামের এক যুবক। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ফলে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। মঙ্গলবার রাতে এই সন্ত্রাসী ঘটনার পর আটক তিন যুবকের কাছ থেকে এ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জনি নামের ওই যুবক খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। তাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আর তাদের ছোড়া গুলিতে দু’যুবক গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে মনির নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই রাতেই পুলিশ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে পুলিশ দু’টি মোটরসাইকেল, দু’টি তাজা গুলি এবং একটি বিস্ফোরিত গুলির খোসা উদ্ধার করে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় আটক তিন যুবক আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে খুলনার দু’শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ এবং গ্রেনেড বাবুর অন্ত:দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়।

গ্রেপ্তার তিন যুবক হলেন, রূপসা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হান্নান শেখে বাড়ির ভাড়াটিয়া গনি হওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার, একই উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের খান মোহম্মাদপুর গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক ব্যাপারীর ছেলে শামীম এবং রাজাপুর বারাকপুর মোড়ের বাসিন্দা শেখ শাহিন শেখের ছেলে শেখ শাহারুখ আহমেদ শান্ত।

একটি সূত্র জানায়, হামলার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে খুলনার বিআইডাব্লুটিএ খেয়াঘাট পার হয়ে ১১ টা মোটরসাইকেল যোগে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী নগরীতে প্রবেশ করে। বিকেলে তারা নগরীর ভিন্নস্থান ঘুরে সন্ধ্যায় তালুকদার কমপ্লেক্সের সামনে আসে।

সূত্রটি আরও জানায়, নিরালা ১৯ নং রোডে মাদকের একটি আখড়া আছে। আখড়াটি পরিচালনা করে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ। সেখানে পলাশ বাহিনীর সক্রিয় সদস্য জনি নামের এক যুবককে খুঁজতে থাকে তারা। জনিকে না পেয়ে দুর্বৃত্তরা সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। গুলিতে মনির এবং হানিফ নামের দু’জন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে খুলনা ত্যাগ করার চেষ্টা করে। এদের একটি গ্রুপকে পুলিশ ধাওয়া দিলে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। রাতে অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।

সূত্রটি আরও জানায়, নৌপুলিশের নাকের ডগা থেকে সন্ত্রাসীরা নদী পার হয়ে খুলনা শহরে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবারও সেই ঘাট থেকে পার হয়ে রূপসা উপজেলার বিভিন্নস্থানে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে এসেছে বলে সুত্রটির দাবি।

খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর জানতে পেরে আমরা সাথে সাথে ওই এলাকাসহ হরিণটানা থানা পুলিশের সহায়তায় এলাকা ঘিরে ফেলি। রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ওই তিন সন্ত্রাসীকে আটক করি। রাতে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তথ্যগুলো যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন