খুলনা’র দিঘলিয়া উপজেলার সন্ত্রাসী কনডম রিপন গ্রেপ্তারে এলাকায় স্বস্তি ফিরলেও সহযোগীরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায় এক সহযোগী। গত ৬ অক্টোবর হত্যাসহ ১১টি মামলার আসামি সন্ত্রাসী রিপন শেখ ওরফে কনডম রিপনকে (৩৫) একটি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও যৌথবাহিনী।
ফরমাইশখানা গ্রামের আনসার শেখের ছেলে রিপনের অস্ত্র ভান্ডার এখনও রয়েছে গডফাদার ও সহযোগীদের কাছে। তাদের চাঁদাবাজিতে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। গডফাদার ও সহযোগিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছেন সাধারণ মানুষ।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, হত্যাসহ ডজন খানেক মামলার আসামি কনডম রিপন ফ্যাসিস্ট সরকারে আমলে বিশেষ বাহিনী গঠন করে। এসময় আওয়ামী দোসরদের ছত্র-ছায়ায় থেকে দিঘলিয়া উপজেলায় ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ভিন্নমতাবলম্বীদের বাড়িতে ডাকাতি করত। এলাকার মানুষের লিখিত ও মৌখিক অনেক অভিযোগে ছিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে। যার কারণে কনডম রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও যৌথবাহিনী। তবে কনডম রিপনকে গ্রেপ্তারের পর তার অস্ত্র ভান্ডারের সন্ধান মেলাতে পারেনি পুলিশ।
সূত্র জানায়, রিপনকে গ্রেপ্তারের সময় যৌথ বাহিনী যে বাড়িটি ঘিরে ফেলে ওই বাড়ি থেকে বোরকা পরে রিপনের এক সহযোগি অস্ত্রসহ বেরিয়ে যায়। যার কাছে ছিল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। তার সাথে সর্বদা ঢাল হয়ে চলতো তার বিশ্বস্ত সহোগীরা। রাতে ও দিনে পাহারা দিত তাকে। তাকে ব্যবহার করে একটা মহল শুধু মাদকের লাখ লাখ টাকার বাণিজ্যই করেনি, তাকে দিয়ে ডাকাতি ও চাঁদাবাজিতে ও পিছিয়ে ছিল না। কনডম রিপনকে মুক্ত করতে তার সহযোগীদের চাঁদাবাজি অনেকগুণ বেড়েছে। তার সহযোগীরা বিভিন্ন লোকজনকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবি করছে। এদের ভয়ে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সন্ত্রাসী রিপনকে গ্রেপ্তারের পর তার অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধারে পুলিশের নিস্ক্রিয়তা রয়েছে বলে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধারে রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এখনও রিমান্ডের আবেদন করেনি দিঘলিয়া থানা পুলিশ। রিমান্ডের বিষয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, কনডম রিপন আদালতে ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দিতে সকল দোষ স্বীকার করেন বিধায় রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম

