গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় অধিগ্রহণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উন্নয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আয়োজনে মানববন্ধনে এই হুশিয়ারি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা ও সুপারিশ প্রদান কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ ইমাম উদ্দীন কবির এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে অতিরিক্ত সচিবের নিকট উন্নয়ন কমিটির মহাসচিব এড. শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজের নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কর্মসূচিতে খুলনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মীর্জা মোহাম্মদ আলী রেজা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান, উপ সচিব শাহাদাত খন্দকার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন অর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. নূরুন্নবী, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত, এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহ বিভিন্ন স্কুলের ডীন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। কিন্তু, আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও অবকাঠামো সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট আমাদের কাছে লক্ষণীয়। এছাড়াও রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। আমরা এইসকল সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।
নেতৃবৃন্দ গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারটি অবিলম্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় অধিগ্রহণের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে যেকোন যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে পাশে থেকে যথাসাধ্য ভূমিকা পালন করবো। নেতৃবৃন্দ গল্লামারী লিনিয়ার পার্কটি অতিদ্রুত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত করা, গল্লামারী বধ্যভূমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দ্রুত নিরসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং অতি দ্রুততার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জমি অধিগ্রহণের দাবি জানান। বক্তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যুগোপযোগী মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু, নতুন নতুন ফ্যাকাল্টি সৃষ্টিসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে অধিক পরিমাণে আর্থিক বরাদ্দ প্রদান করতে হবে যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার শিক্ষার মান বজায় রাখতে পারে। মৎস্য বীজ খামারটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় অধিগ্রহণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়িত না হলে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বক্তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।
মানববন্ধন কমূচিতে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি নিজাম উর রহমান লালু’র সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব এ্যাড. শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ মাহফুজুর রহমান, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) খুলনা মহানগর শাখার প্রধান সংগঠক আহম্মদ হামীম রাহাত, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’র সহ সভাপতি মিনা আজিজুর রহমান, অধ্যাপক মোঃ আবুল বাসার, মিজানুর রহমান বাবু, মোঃ খলিলুর রহমান, অধ্যাপক মোঃ আযম খান, মামনূরা জাকির খুকুমনি, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম, মোল্লা মারুফ রশিদ, কোষাধ্যক্ষ শেখ গোলাম সরোয়ার, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসী’র সভাপতি ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান খোকন, সহ সভাপতি সিরাজ উদ্দিন সেন্টু, মোঃ জামাল মোড়ল, বাংলাদেশ লেবার পার্টি খুলনা জেলা শাখার সভাপতি এ এস এম সাইফুদ্দোহা, বাগেরহাট জেলা কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি শেখ মোঃ সাহেব আলী, বরিশাল বিভাগীয় কল্যাণ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন হাওলাদার, নাগরিক নেতা এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা, এ্যাড. এস এম শাহনেওয়াজ আলী, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর নেতা সরদার আবু তাহের, মোঃ হায়দার আলী, মুর্শিদুর রহমান লিটন, রফিক উদ্দিন ফারাজী, আফজাল হোসেন রাজু, এ্যাড. শেখ আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সেলিম উল আজাদ, খান হাবীবুর রহমান, মোঃ নাজমুল হক মুকুল, কাজী ইমরুল হাসান টিটু, মোঃ সাকিল আহমেদ রাজা, মোঃ ইলিয়াস মোল্লা, মোঃ শফিকুর রহমান, বিশ্বাস জাফর আহমেদ, সোহেল চৌধুরী খুবি কর্মকর্তা শেখ শারাফাত আলি দুলু, শেখ আরিফ নেওয়াজ, আবু সালেহ মোঃ পারভেজ, গাজী আলাউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আব্দুর রহমান, এস এম মোহাম্মাদ আলী, মোঃ আতিয়ার রহমান, শেখ শফিকুল ইসলাম, এ্যাড. শেখ জাকিরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আব্দুর রশিদ, জি এম ফখরুজ্জামান, হামিদুল হক, জি এম মঈনউদ্দিন, নিতাই পাল, মনির চৌধুরী সোহেল, জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিপু, কামরুল ইসলাম, এ্যাড. এস এম মারুফ আহমেদ, শেখ সাদিকুর রহমান সাদিক, পরেশ চন্দ্র মন্ডল, জি এল সেলিম বাহার, কামরুল ইসলাম ভুট্টো, মোঃ আবু আল মিরাজ, সবুজ উল ইসলাম, তালুকদার মোঃ হেলাল উজ্জামান, শেখ মোহাম্মাদ আলী, ডাঃ আব্দুস সালাম, খান হাবিবুর রহমান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম