বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

বিতর্কিত রূপান্তরসহ খুলনার ৫ সংগঠন নির্বাচন পর্যবেক্ষকের তালিকায়!

নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য খুলনার ৫টি সংগঠন নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছে। সংগঠনগুলোর মধ্যে ফারাজী পাড়ার রূপান্তর অন্যতম। বিগত ৩টি জাতীয় নির্বাচন ও কেসিসি’র বিতর্কিত নির্বাচনে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তৎকালীন সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মকর্তার তৎপরতা নিয়ে বিগত সরকারের আমলে বিতর্ক ছিলো।

পাঁচ বছর পর দেশে জাতীয় নির্বাচন এলেই সরকারে থাকা অথবা বিরোধী দলগুলোর তৎপরতা যেমন বাড়ে, তার সঙ্গে কিছু অতি উৎসাহী গোষ্ঠী এবং পরিচিত ও অপরিচিত বিভিন্ন সংগঠনের তৎপরতাও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠনের তৎপরতা লক্ষ করা যায়।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা বেশি দিনের নয়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচন থেকেই মূলত পর্যবেক্ষণ শুরু। দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা যেসব সংস্থার রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ফেমা, ব্রতী, অধিকার, জানিপপ ও ডেমক্রেসিওয়াচ। এ কয়েকটি সংগঠন সার্ক অঞ্চলে এবং পূর্ব এশিয়ায়ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল। সব ক’টি সংস্থা এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের তত্ত্বাবধায়নে ও অর্থায়নে কাজ করে। এর পরের দু’টি নির্বাচনে দেশের প্রতিষ্ঠিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো পর্যবেক্ষক দলের তেমন উপস্থিতি ছিল না। কারণ এসব সংস্থার প্রাকপর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ইতিবাচক ছিল না। তবে স্থানীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং সার্ক থেকে বিশেষভাবে কমিশনের আমন্ত্রণে কিছু কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচন এবং কেসিসি নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের প্রতিবেদন ছিল তৎকালীর সরকারের অনুকূলে। পর্যবেক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে কখনো সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়নি।

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে খুলনার ৫টি রয়েছে। এরা হলো রূপান্তরের পক্ষে রফিকুল ইসলাম খোকন, আরপিও ফাউন্ডেশনের পক্ষে মোঃ জয়নাল আবেদীন বাবলু, স্কোপ-এর পক্ষে শেখ মোঃ টুটুল, আশ্রয় ফাউন্ডেশনের পক্ষে মমতাজ খাতুন এবং ইউআরপিএসএ-এর পক্ষে শেখ আব্দুল বাকী।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গত ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্রে পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকা বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারও কোনো আপত্তি থাকলে ২০ অক্টোবরের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে। আবেদনকারীর অভিযোগ সম্পর্কে লিখিত প্রমাণাদি দাখিল করতে হবে। আদেনকারীর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। শুনানির শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন