শুক্রবার । ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ । ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩২

নগরীর সাত হাজার বেওয়ারিশ কুকুর মার্চ ডগ ভ্যাকসিনেশনের আওতায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

লবণচরা থেকে বাদামতলা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার পরিধির নগরী জুড়ে বেওয়ারিস কুকুর দিনে-রাতে যানবাহন ও পথচারীদের তাড়া করছে। যানবাহন চালকরা দুর্ঘটনার শিকার ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। ভুক্তভোগী, সমাজসেবী, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নাগরিক সংগঠন ও সাবেক কাউন্সিলরদের পাঠানো এ ব্যাপারে অভিযোগে কেসিসির কর্তাদের কান ঝালাপালা হচ্ছে। কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ ‘মার্চ ডগ ভ্যাকসিনেশন’ কর্মসূচি নিয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে ৩১টি ওয়ার্ডের সাত হাজার বেওয়ারিস কুকুরকে।

সড়কের পাশে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলায় ক্ষুধার্ত কুকুর এ ধরনের স্পটকে পছন্দ করে। পলিথিন ছিঁড়ে খাবার বের করে সেখানেই আশ্রয় হিসেবে বেছে নেয়। কেসিসি কর্তৃপক্ষ বলেছে যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। নগরীর লবণচরা, মোল্লাপাড়া, জিন্নাপাড়া, মাস্টারপাড়া, মহিরবাড়ির খালপাড় মোড়, মাওলার বাড়ির খালপাড়, করের বাজার, মিয়াপাড়া, পূর্ব বানিয়াখামার, দোলখোলা, বাইতি পাড়া, ইকবাল নগর স্কুল মোড়, বকুলতলা, মুসলমান পাড়া, নিরালা, গল্লামারী, পিটিআই মোড়, কয়লাঘাট মোড়, ডাকবাংলা মোড়, হেলাতলা মোড়, শান্তিধাম মোড়, ময়লাপোতা, নিউমার্কেট, সাহেবের কবরখানা, কদমতলা মোড়, খুমেক হাসপাতাল প্রাঙ্গণ, বয়রা বাজার, আলমনগর, চিত্রালি, দেয়ানা, ফুলবাড়ি গেট এলাকায় বেওয়ারিস কুকুরের তাড়া খাওয়া ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রতিনিয়ত।

কেসিসির প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ৪১টি, পিটিআই মোড়ে ৩৬টি, গল্লামারী মোড়ে ২৮টি এবং নিউমার্কেট এলাকায় ২৬টি কুকুরের বিচরণ পরিলক্ষিত হয়। কুকুরের উপদ্রব বাড়ায় খুলনা নাগরিক সমাজ, গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চ, বিভিন্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও সাবেক কাউন্সিলররা কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ পাঠাচ্ছে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমান বাবু অভিযোগে উল্লেখ করেন, বেওয়ারিস কুকুর নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের পাক্ষিক সভায় নাগরিক নেতা মোঃ আয়নুল হক ও প্রাণী প্রেমিক এসএম সোহরাব হোসেন কুকুরের উপদ্রব বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আহ্বান জানান।

কেসিসির প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার ১১ সেপ্টেম্বর বাজেট পেশকালে এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ৩১টি ওয়ার্ডকে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়েছে। শীগ্রই কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১৮০জন জনবল নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে। উদ্দেশ্য জলাতঙ্ক প্রতিরোধে টিকা দান।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ছয় হাজার কুকুরকে টিকাদানের কর্মসূচির আওতায় আনা হয়।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন