গাওঘরার চঞ্চলের সর দইয়ের সুখ্যাতি খুলনাঞ্চল জুড়ে। তার দই নিতে প্রায় সময় দোকানে লম্বা লাইন থাকে। অল্প দিনে ফুলে ফেঁপে মোটা তাজা হয়েছেন, হয়েছেন টাকার কুমির। প্রশাসনের অনেক কর্তা ব্যক্তিদের সাথে তার দইয়ের সুবাদে গড়ে তুলেছেন সখ্যতা। যে কারণে এলাকায় ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন।
চঞ্চল পাল, পিতা অর্জুন পাল। গ্রাম শরাফপুর। ছিল টিনের ঘর। বেশকয়েক বছর আগে গাওঘরা খেয়াঘাটে মিষ্টির দোকান দেন। তৈরি করতে শুরু করেন সর দই। তার সর দই অল্প দিনে বেশ সুখ্যাতি অর্জন করে। পৈত্রিক সূত্রে তিন ভাইয়ের জমি ৮ শতাংশ। ওই জমিতে তৈরি করেন একতলা বাড়ি। এখন দৃষ্টি পাশের বাড়ির দুলাল পালের পৈত্রিক জমির ওপর। গেল বছর ১ জানুয়ারি দুলাল পালের ২ শতক জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে। নিরুপায় হয়ে দুলাল পাল ডুমুরিয়া থানায় অভিযোগ করলে এসআই কেরামত ঘটনাস্থলে যেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। পরে অদৃশ্য কারণে পুলিশ আবারও কাজ করতে বললে দুলাল পাল আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত গত ১৪ জুলাই উভয় পক্ষকে স্থিতি অবস্থা থাকার নির্দেশ দেন এবং ডুমুরিয়া থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু ওই আদেশের পরে গত শনিবার চঞ্চল পাল ৩০/৪০ জন শ্রমিক নিয়ে এক দিনেই ওই জায়গায় ছাদের কাজ করেন।
ঘটনাটি ভুক্তভোগী থানাকে জানালেও কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুলাল পালের দাবি চঞ্চলের সর দই প্রশাসনসহ সকলে খায়। যে কারণে টাকা ও দই দিয়ে তিনি সকলকে ম্যানেজ করেন। চঞ্চল পালের দই প্রশাসনসহ অনেকেই পছন্দ করে দাবি করে তিনি বলেন, মামলা নথিজাত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ডুমুরিয়া থানাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমার দই নেয়। আমি থানায় গেলে বলেছেন, তোমার উকিল যেভাবে বলে সেভাবে চল।
তবে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, আমাদের অনুষ্ঠানে কিছু আনলে তা টাকা দিয়ে কিনে নেই। আদালত আমাকে কোন নির্দেশনা দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে