জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান আজ (রবিবার) সকালে মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। তাই এই প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নদী-নালা,খালবিল ও প্রাকৃতিক জলাশয়ে দেশীয় মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
তারা আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চল মাছ চাষের উর্বর এলাকা, এ অঞ্চল থেকে প্রতিবছর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ চিংড়ি রপ্তানি হয়, যা দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভয়াশ্রমগুলোর কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে। সরকার মৎস্যখাতকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মৎস্য সপ্তাহের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে পারলে এই খাত আরো গতিশীল হবে বলে আশা করেন অতিথিরা।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: বদরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক বিপুল কুমার বসাক, মৎস্য অধিদপ্তরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার মোঃ জাহিদুল হাসান, মৎস্য খামারি শেখ রেজানুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মূল্যায়ন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এটিএম তৌফিক মাহমুদ। খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় আয়োজিত সমাপনীতে কর্মকর্তা, মাছচাষী ও মাছ ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম