খুলনা কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হাসানুর রহমান হতদরিদ্র নারীদের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নাম করে নেওয়া টাকা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ফেরত দিয়ে আসছেন। এই ঘটনা নিয়ে এলাকা জুড়ে মানুষের মাঝে গুঞ্জন চলছে।
জানা গেছে, খিরোল গ্রামের হতদরিদ্র তরিকুলের স্ত্রী আছিয়া খাতুন, আরশাদুলের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, আঃ আহাদ সরদারের স্ত্রী মরিয়াম খাতুন, চলতি বছরে ভিজিডি কার্ডের জন্য আবেদন করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হাসানুর রহমান তিনি এসব গ্রামের সহজ সরল নারীদের ভিজিডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে ৩ হাজার টাকা ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ২/৩ মাস পরে তিনি হঠাৎ করে হতদরিদ্র নারীদের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে বলেন, তোমাদের কার্ড হবে না এই কথা বলে টাকা ফেরত দেন। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকা জুড়ে মানুষের মাঝে আলোচনা শুরু হয়েছে।
খিরোল গ্রামের মোঃ আরশাদুলের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বলেন, আমাদের পরিবারের ৫ জন সদস্য, আমার স্বামী চোখে ঠিক মতো দেখতে পায় না। মেম্বারের কথা মতো ভিজিডি কার্ডে আবেদন করি। তিনি টাকা চাইলে অন্যের কাছ থেকে সুদে করে ৩ হাজার টাকা মেম্বারকে দেই। মেম্বার ৩ মাস পরে এসে হঠাৎ করে সেই টাকা ফেরত দিয়ে বলে তোমাদের কার্ড হবে না।
এ বিষয়ে জানতে আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হাসানুর রহমান বলেন, ওনারা আমার বাড়ি এসে আমার স্ত্রীর কাছে টাকা দিয়ে গিয়েছিলো আমি সেই টাকা ওনাদের বাড়ি গিয়ে ফেরত দিয়ে আসছি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন, উপযুক্ত প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম