জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, “দেশে সুশাসন, গণমানুষের অধিকার এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াত ৭ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে। এসব দফা বাস্তবায়িত হলে দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত করে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। তাই ৭ দফা বাস্তবায়নে অন্তবর্তী সরকারকে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য করার জন্য পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। কারণ, এ পদ্ধতির মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।”
শনিবার (৯ আগস্ট) কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে পৃথক পৃথক নির্বাচনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। কর্মশালা কয়রা উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতির নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রায় সকল নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। বিশেষ করে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনসহ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনই নির্বাচন ছিল? এসব নির্বাচনে ব্যাপক ভিত্তিক রিগিং, গণহারে সিল মারা, কেন্দ্র দখল, ডামি নির্বাচন, ব্যালট ছিনতাই, দিনের ভোট রাতে করা সহ ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত, এসব ছিল ভুয়া ও নির্বাচনের নামে প্রহসন। তাই দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অতীতের অশুভ বৃত্ত থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সেক্রেটারি শেখ সাইফুল্লাহ’র পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সারোয়ার, সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে কয়রা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর মিজানুর রহমান, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আমীর মাস্টার নূর কামাল হোসেন, মহারাজপুর ইউনিয়ন আমীর মাস্টার সাইফুল্লাহ হায়দার, বাগালী ইউনিয়ন আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল হামিদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন আমীর আবু সাঈদ, আমাদী ইউনিয়ন আমীর সাজ্জাদুল ইসলাম, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কয়রায় নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ১২শ’ (পুরুষ ও মহিলা) দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এসএস