টানা বৃষ্টিপাতের প্রভাবে তেরখাদা উপজেলায় হঠাৎ করেই কাঁচা সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিমের দামেও এসেছে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।
শনিবার (৯ আগস্ট) উপজেলার কাটেঙ্গা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।
বর্তমানে বাজারে—
বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, করলা ৭০-৮৫ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৬৫ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, পেপে ৩০-৪০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা শসা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম, বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়।
ডিমের দাম হালি প্রতি ৪৪-৪৬ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫-৪০ টাকা।
এক সপ্তাহ আগেও এসব পণ্যের দাম ছিল তুলনামূলক অনেক কম। বেগুন ৪০-৫০, করলা ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৪০-৪৫, বরবটি ৩০-৪০, পটল ২০-৩০, শসা ৪০-৪৫ এবং লাউ ৩০-৩৫ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে।
ভুক্তভোগী উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, “প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট বাজেট নিয়ে বাজারে আসি। কিন্তু হঠাৎ করে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজেটের বাইরে চলে যাচ্ছে। সবকিছুর দামই অনেক বেড়ে গেছে।”
নর্থ খুলনা কলেজের শিক্ষার্থী নিপুন রায় বলেন, “বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বাড়তে পারে, কিন্তু ডিমের দাম হঠাৎ করে এত বেড়ে যাওয়া ঠিক নয়। বাজারে সঠিক নজরদারি থাকলে এমন হতো না।”
জয়সেনা বাজারের খুচরা বিক্রেতা সাজ্জাদুল বলেন, “টানা বৃষ্টিতে কৃষকরা ঠিকভাবে সবজি আনতে পারছেন না। ফলে পাইকারিতে দাম বেড়েছে, আমরা বেশি দামে কিনে বিক্রি করছি।” ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি বড় ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট’-এর কথা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণ বলেন, “যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সিন্ডিকেট করে বা অতিরিক্ত লাভের জন্য দাম বাড়ায়, তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে, আরও জোরদার করা হবে।”
স্থানীয়দের আশঙ্কা, বাজারে নজরদারি আরও কঠোর না হলে সামনে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
খুলনা গেজেট/এসএস