সোমবার । ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

খুলনায় টগর খুন: হত্যা মিশনে অংশ নেয় ৭ জন, গ্রেপ্তার হয়নি কেউই

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা সোনাডাঙ্গা সবুজবাগ এলাকার যুবক মনোয়ার হোসেন টগর হত্যার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও থানায় কোন মামলা হয়নি। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে টগরের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, টগর এক সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর অনুসারী ছিল। মাঝে দল পাল্টে কালা লাভলুর মাধ্যমে পলাশ গ্রুপে যোগ দেয়। সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব এবং পাওনা টাকা আদায়ের জেরে টগরকে হত্যা করা হয়। হত্যা মিশনে ৭ জন সন্ত্রাসী অংশ গ্রহণ করে।

নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আব্দুল হাই বলেন, শক্রবার (১ আগস্ট) রাতে নিজ বাসায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় মনোয়ার হোসেন টগর। হত্যাকারীরা নিহত টগরের পূর্ব পরিচিত। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। টগরের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অস্ত্র এবং মাদকসহ ৫ টি মামলা রয়েছে। সে থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক বলেন, হত্যা মিশনে মোট ৭ জন অংশ নেয়। ওই তিনজন প্রথমে দরজা নক করে নিহতের বাবাকে জানায় তারা তার পূর্ব পরিচিত। টগর এবং হত্যাকারীরা প্রায় ৫ মিনিট কথা বলে। এর মধ্যে একজন যুবক টগরের কাছে পূর্বের পাওনা টাকা ফেরত চায়। তাদের মধ্যে কালো শার্ট পরা একজন যুবক হাতে থাকা ছুরি দিয়ে টগরের বুকের ডান পাশে আঘাত করে। ছুরি দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। পরবর্তীতে টগরকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে উপস্থিত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ৩ টি মোটরসাইকেলযোগে দুবৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে। হত্যাকান্ডের পরপরই থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং আশপাশের বাড়ির সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে। নিহত টগরের পিতা জামাল হাওলাদারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, হত্যাকারীরা নিহতের পূর্ব পরিচিত। তাদের সাথে চলাফের করত টগর। তাকে বারবার নিষেধ করা সত্বেও সে কথা শোনেনি। হত্যাকান্ডের পরপর হত্যাকরীরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখায় তাদের অবস্থান এবং তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছেনা।

 

খুলনা গেজেট/হিমালয়/সাগর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন