Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বুধবার । ৩০শে জুলাই, ২০২৫ । ১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

ওয়েষ্টার্ন ইন থেকে উদ্ধার মৃত নারীর প‌রিচয় মে‌লে‌নি ২৫ দি‌নেও, থম‌কে গে‌ছে তদন্ত!

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় হোটেল ওয়েষ্টার্ন ইন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত নারীর কোন পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বার্তা প্রেরণ করে তার পরিবারের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২৫ দিন পার হলেও মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম খুলনা গেজেটকে বলেন, অন্যত্র বদলী হওয়ায় মামলার একজন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। মৃত ওই নারীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া জন্ম সনদের ঠিকানা অনুযায়ি সেখানে তদন্তে পুলিশকে পাঠানো হয়েছিল। ওই নারীর ছবি দেখানো হলেও কেউ তাকে চিনে না বলে জানানো হয় সেখান থেকে। তার তথ্য সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় প্রেরণ করা হয়েছে, কিন্তু সেখান থেকে কোন উত্তরও পাওয়া যায়নি।

খুলনা মেট্রোপলিন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো: আবু তারেক বলেন, সিআইডি তার ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। তার ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। ছবি বিভিন্ন থানায় প্রেরণ করা হয়েছে, সেখান থেকে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য আমরা পায়নি। ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তাও ময়না তদন্তের সময়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন কিছু বলা সম্ভব নয়। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। রিপোর্টে হত্যার কোন সিমটম পাওয়া গেলেই সেটি মার্ডার কেস হিসেবে বিবেচিত হবে।

পুলিশ জানায়, গত ৪ জুলাই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে খুলনায় ওয়েষ্টার্ন ইন হোটেলের তৃতীয়তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাথে পাওয়া যায় ওই নারীর একাধিক জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি। এরমধ্যে একটি নিবন্ধন অনুযায়ী নারীর নাম পাওয়া যায় শান্তা ইসলাম। সেখানে বর্ণিত ঠিকানা অনুযায়ী সন্ধানে নামলেও পুলিশ তার ঠিকানা পায়নি। এছাড়া রহস্যজনক মৃত্যুর পর ওই কক্ষ থেকে ৬ টি মোবাইল সিমকার্ড ও দুই পাতা ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করে। পরে ওই নারীর সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরের দিন আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে লাশের দাফন করা হয়। হোটেল থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শহরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন