ডুমুুরিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যানকে পরিষদে যেতে বাঁধা!

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে পরিষদে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর অনুমান দেড়টার দিকে স্থানীয় বিএনপির অনুসারী কিছু লোকজন এসে পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহিদাস কুন্ডুকে এ ধরণের হুমকি দিয়ে গেছেন। এতে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেক সেবা গ্রহিতারা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে অর্ধবেলা পর্যন্ত সুন্দরভাবে চলেছে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। দুপুরের পর পরিষদের চেয়ারম্যান বাসায় চলে যান। এরপর আকষ্মিকভাবে বিএনপি অনুসারী কিছু লোক পরিষদে ঢুকে চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলুকে পরিষদে না যাওয়ার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহিদাস কুন্ডুকে নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহিদাস কুন্ডু জানান, ‘বুধবার যারা পরিষদে তালা দিয়েছিলো, তাদেরই মধ্যে ১০/১৫ জন লোক বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পরিষদে এসে চেয়ারম্যানকে পুনরায় পরিষদে যেতে নিষেধ করেছেন।’

ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু জানান, ‘বুধবার তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এলাকার বিএনপি অনুসারী কিছু লোক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দেয়। যেটা উপজেলা প্রশাসন তদন্তের জন্য ৩ সদস্যে একটি কমিটি করেছেন। তদন্তে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে প্রশাসন আইনগত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু পরিষদে এসে মব সৃষ্টির পায়তারা কেন করবে?’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, ‘চেয়ারম্যানকে আমরা পরিষদে যেতে নিষেধ করতে পারিনা। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তাদের যে অভিযোগ, সেটা তদন্তাধীন রয়েছে। পরিষদে ঢুকে মব সৃষ্টি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল পোনে ১২টার দিকে একদল বিএনপি অনুসারী লোক পরিষদে ঢুকে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে পরিষদ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরে তারা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর আখ্যায়িত করে চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলুর বিরুদ্ধে লিখিতভাবে দুর্নীতি ও অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন এবং চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি জানান। ওই সময় উত্তেজিত জনগণের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বৈঠক হয়। একপর্যায়ে বেলা সোয়া ৩টার দিকে উপজেলা প্রশাসন পরিষদের তালা খুলে দেন।

খুলনা গেজেট/এসএস




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন