রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দাকোপ উপজেলা আমীর মাওলানা আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার আসর বাদ তারই কর্মস্থল চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে চালনা সরকারি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন। জানাজায় খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আমীর এজাজ খান, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি গওসুল আযম হাদী, মাওলানা শেখ মো. আবু ইউনুফ, মাওলানা মো. ইলিয়াস হোসেন, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মাওলানা মো. অজিহুর রহমান, আসমত হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জি এম আকতারুজ্জামান, মো. নজরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, নাঈম বিল্লাহ, নুরুন নবী সরদার, মাওলানা বেলাল হোসেনসহ এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ শত শত মুসল্লী অংশ নেন।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য শুক্রবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত রাত ১১টার দিকে দাকোপ উপজেলা থেকে নেতাকর্মী ভর্তি ৩টি বাস নিয়ে দাকোপ উপজেলা আমীর মাওলানা আবু সাঈদ রওনা হন। পথিমধ্যে শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ৩ টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ে পৌছালে সবাই চা বিস্কুট খাওয়ার জন্য বললে তিনি সকলকে নিয়ে গাড়ি পার্কিং করে চা-বিস্কুট খাচ্ছিলেন। এ সময় দাকোপ উপজেলা আমীর মাওলানা আবু সাঈদ দেখতে পান তার গাড়ির ব্যানারটি খুলে গেছে। তিনি নিজে কয়েকজনকে নিয়ে সেটি ঠিক করার জন্য কাজ করছিলেন। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা রয়্যাল পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস সজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে মাওলানা আবু সাঈদ শাহাদাৎবরণ করেন। আর আহত হন জামায়াত কর্মী মো. আনিসুর রহমান ও মো. ইকবাল হোসেন। আহতদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাওলানা আবু সাঈদ চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী মৌলভী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ছিলেন চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদরাসা সংলগ্ন বায়তুস সালাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব। তার স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসএস