Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

নগরীর সড়কে সড়কে ফের গর্ত, দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ফের গর্ত খুড়ে পাইপ টানা হচ্ছে। ওয়াসার পর এবার সড়ক খোঁড়াখুড়ি করছে বিটিসিএল। বৃষ্টির মধ্যে গর্ত খুড়ে মাটি, ইট-বালু দিয়ে যেনতেনভাবে রেখে দেওয়া হচ্ছে। এতে বৃষ্টির মধ্যে কাদাপানিতে নাকাল হচ্ছে মানুষ।

নগরবাসী জানান, মাটির নিচ থেকে পাইপলাইন টানতে নগরীর প্রতিটি সড়কেই গর্ত খুঁড়েছিল ওয়াসা। এ নিয়ে টানা দেড় বছর দুর্ভোগের শিকার হয়েছে নগরীর মানুষ। গত এপ্রিল মাসে সড়কের গর্তগুলো মেরামত কাজ শেষ করেছে ওয়াসা। এতে স্বস্তি ফেরে নগরবাসীর মাঝে। কিন্তু এই স্বস্তির রেশ না কাটতেই নগরজুড়ে ফের খোঁড়াখুড়ি শুরু করেছে বিটিসিএল।

নগরী ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সড়কেই অপটিকাল ফাইবার টানার কাজ চলছে। সড়কের একপাশ খুড়ে যন্ত্র দিয়ে ফাইবার টানা হচ্ছে। কিছু সড়কে কাজ শেষ। সেখানে গর্ত ভরাট করা হয়েছে, মাটি, ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে। বৃষ্টিতে সেই মাটি ও বালু ছড়িয়ে পড়ছে সড়কে। আবার কিছু সড়কে আরসিসি চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। সেগুলো উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বৃষ্টিতে গর্ত পরিপূর্ণ হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বিটিসিএল থেকে জানা গেছে, ‘ডিজিটাল সংযোগ বাড়াতে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ (এমওটিএন)’ নামের প্রকল্পে আওতায় গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি অপটিকাল ফাইবাল পৌছে দিচ্ছে বিটিসিএল। চীনা কোম্পানি জেডটিই ঠিকাদার হিসেবে প্রকল্পের মূল কাজ করছে। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে টেলিফোন ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে।

সূত্রটি জানায়, কাজ শুরুর আগে নগর ভবনে, খুলনা সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, সড়ক বিভাগসহ সেবা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যে সব সড়কে ফাইবার টানা হবে ওই সড়কে ওয়াসার পাইপ কোথায় রয়েছে তা ওয়াসার কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে বিটিসিএল খুলনার উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ তরিকুল ইসলাম খান বলেন, এমওটিএন প্রকল্পের ফাইবার টানতে সড়কের কিছু কিছু জায়গা খুঁড়তে হচ্ছে। নগরীর প্রতিটি সড়কেই এই ফাইবার বসবে। খুলনার অন্যান্য সেবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করা হচ্ছে। তারপরও কোথাও সমস্যা হলে তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের সময় বিবেচনায় বর্ষাকালেও কাজ করতে হচ্ছে। কাজ শেষে দ্রুত সড়ক মেরামতের জন্য কেসিসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন