Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
২৪ ঘন্টায় খুমেক ল্যাবে ১০৫জনের করোনা শনাক্ত

খুলনায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ চারজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন উপসর্গ নিয়ে খুমেক হাসপাতালে ও একজন করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় খুমেক পিসিআর ল্যাবে ১০৫জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী বৃহস্পতিবার রাতে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হন। সেখান থেকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৪টায় তাঁর মৃত্যু হয়।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানিয়েছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মাদ আলী শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। গতকালকে শরীরে জ্বর আসলে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানে করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা নেওয়া হয়। পরে জানতে পারলাম তিনি খুলনার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন সেন্টারে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান (৬৮) ও বাদল কুদ্দুস (৫২)।

খুমেক হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার চালিশিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস মোল্লার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান গত কয়েকদিন ধরে জ্বর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ভর্তি হয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫ টায় তার মৃত্যু হয়। করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই উপজেলার একতাপুর গ্রামের বাসিন্দা নিমাই চাদের ছেলে বাদল কুসুম করোনা উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খন্দকার একরামুল হাসান (৬০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীর বাগমারা এলাকার বাসিন্দা খন্দকার একরামুল কবীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। টানা ১ সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পরে গতকাল রাতে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১০৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ৮১ জন। এছাড়া বাগেরহাটের ১২ জন এবং সাতক্ষীরার ৭ জন, যশোরের ৪ জন ও নড়াইলে ১জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ জানান, শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে মোট ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় এর মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ২৩০টি। মোট পজেটিভ হয় ১০৫টি।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায় শুক্রবার ১৭ জুলাই পর্যন্ত খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৯জন।

খুলনা গেজেট/এমবিএইচ/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন