খেয়া পারাপারে দুর্ভোগ নিরসনে ব্যস্ততম খুলনার দৌলতপুর খেয়াঘাট পার্শ্ববর্তী লঞ্চঘাটে স্থানান্তরের দাবিতে ভুক্তভোগী জনগণের ব্যানারে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়। রবিবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে দৌলতপুর খেয়া ঘাটের অপর প্রান্ত দিঘলিয়ার দেয়াড়া খেয়াঘাটে অনুষ্ঠিত এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে পারাপার কারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যসহ, শিক্ষক, রাজনীতিj, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আজগর আলী, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, শেখ জোবায়ের হোসেন, ডাঃ হাফিজুর রহমান, ডাঃ সৈয়দ আবুল কাশেম, সৈয়দ সেকেন্দার আলী , পরিবেশবাদী সংগঠন আলোর মিছিলের উপদেষ্টা শেখ আব্দুস সালাম, মোল্লা মাকসুদুল ইসলাম, জিএম আকরাম, সৈয়দ শাহাজান, ব্রক্ষগাতী ব্লাড লাইনের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, কবি কৃষ্ণ চন্দ্র ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি অধ্যাপক প্রসেনজিৎ শিকদার, দৌলতপুর খেয়াঘাট লঞ্চ ঘাটে স্থানান্তর বাস্তবায়নের মুখপাত্র সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলাম রাজিব, ফরমাইশখানা ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম, দিঘলিয়া প্রতিবন্ধী দুস্থ সংস্থার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পরিচ্ছন্ন দিঘলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ রিয়াজ, সমন্বয়কারী সাজ্জাদ হোসেন, স্থানীয় সাংবাদিক সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, আরিফুল ইসলাম হাসান, মোড়ল মনিরুল ইসলাম, শেখ শামীমুল ইসলাম, দৌলতপুর খেয়াঘাট বাজার কমিটির সভাপতি মোল্যা রাজু আহন্মেদ, স্বপ্নতরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গাজী আলী বাকের প্রিন্স, আলোর মিছিলের শাহাজাহান মোড়ল, দিঘলিয়া ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি মোঃ সালাউদ্দিন বাবু, ঘোষ গাতী যুব সংঘের সভাপতি আসাদুজ্জামান আশা, দিঘলিয়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি শেখ আল আমিন, মোঃ রাতুল প্রমুখ।
দৌলতপুর খেয়াঘাট লঞ্চঘাটে স্থানান্তর বাস্তবায়নের মুখপাত্র রবিউল ইসলাম রাজিব খুলনা গেজেটকে বলেন, আগামী ২/১ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হবে। গঠিত কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, দৌলতপুর খেয়াঘাট হচ্ছে খুলনার তৃতীয় ব্যস্ততম খেয়াঘাট। প্রতিদিন এই খেয়াঘাট দিয়ে নড়াইল, কালিয়া, বড়দিয়া, তেরখাদা, রুপসা এবং দিঘলিয়ার হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। দৌলতপুর খেয়াঘাট পার হওয়ার পর বাজারের কাপড় পট্টির গোলির ভিতর দিয়ে অসহায়, জরুরী রোগী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাসহ নারী- পুরুষ চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হয়। খেয়াঘাট পার হওয়ার পর জরুরী রোগী পরিবহন কিংবা মালামাল পরিবহনের কোন সুযোগ নেই। এছাড়া বাজারের নিরাপত্তার অজুয়াতে রাত ১২ টার পর খেয়াঘাট বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, দৌলতপুর খেয়া ঘাটের পাশেই বিআইডব্লিউটি এর নিয়ন্ত্রণাধীন লঞ্চ ঘাটটি ব্যবহৃত অবস্থায় আছে। দৌলতপুর খেয়াঘাট লঞ্চঘাটে স্থানান্তরিত হলে খেয়া পারাপারে দুর্ভোগ থাকবে না। তিনি নলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে।
খুলনা গেজেট/কেডি