Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
মঙ্গলবার । ২৬শে আগস্ট, ২০২৫ । ১১ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
অভিযুক্তরা শনাক্ত ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পৌঁছানোর পরও

তিন মাসে ডাঃ রকিব খান হত্যার চার্জশীট হয়নি, শঙ্কিত বাদি

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার রাইসা ক্লিনিকের মালিক ডা. মোঃ আব্দুর রকিব খান (৫৯) হত্যার ৯০ দিন পার হচ্ছে আজ বুধবার। এরই মধ্যে এজাহারের বেশিরভাগ আসামী গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জমা হয়েছে এক মাস আগে। এছাড়া হামলাকারী বেশির ভাগকেই সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তারপরেও মামলার ৯০ দিনেও চার্জশীট জমা দেয়নি পুলিশ। মামলার বাদি মোঃ সাইফুল ইসলাম খান এতে এ মামলার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। তবে পুলিশ বলছে চলতি মাসেই চার্জশীট জমা দেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এর অধ্যক্ষ ডাঃ রকিব খানকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে রোগীর স্বজন ও স্থানীয় দৃবৃত্তরা। এতে তার মাথার পেছনে মারাত্মক জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলেও ১৬ জুন আইসিইউতে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ডাঃ রকিব হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী জমির, আবুল আলী, গোলাম মোস্তফা, খাদিজাসহ এজাহারভূক্ত বেশিরভাগ আসামী গ্রেফতার হয়েছে। ডাঃ রকিব খানের ময়না তদন্ত রিপোর্টও থানায় জমা দেয়া হয়েছে আগস্ট এর শুরুতে। তবে মামলায় এখন পর্যন্ত চার্জশীট জমা দিতে পারেনি পুলিশ।

ডাঃ রকিব খান এর ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, “মামলায় সকল আলামত ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসার পরও অদৃশ্য কারণে পুলিশ চার্জশীট জমা দিচ্ছে না । এতে করে মামলার ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছি আমরা। পুলিশের আচরণ রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে আমার ভাইয়ের হত্যার উপযুক্ত চার্জশীট জমা দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

খুলনা বিএমএ সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম বলেন, “ডাঃ রকিব প্রজাতন্ত্রের সব থেকে হতভাগা কর্মচারী। পরিচালক পদমর্যাদা এবং ৩য় গ্রেডের একজন অফিসারকে জনসম্মুখে পিটিয়ে মেরে ফেললো, আর তার বিচারের প্রত্যেকটি ধাপে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এরচেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। অবিলম্বে মামলার অভিযোগ পত্র দিয়ে মামলা দ্রুত বিচার আইনে নিয়ে এসে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।”

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় অভিযোগপত্র দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এই মাসেই চার্জশীট জমা দেয়া হবে।

 

খুলনা গেজেট/এমবিএইচ/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন