Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
সোমবার । ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ । ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য দুষছেন একে অপরকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চালের মূল্য বৃদ্ধি যেন একটি সাধারণ ঘটনায় রূপ নিয়েছে। মূল্য বৃদ্ধিতে পাইকারি বিক্রেতারা দায়ী করছেন মিল মালিকদের, পক্ষান্তরে মিল মালিকরা দায়ী করছেন কৃষকদের।

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সব ধরণের চালেই কেজিতে ১/২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিল মালিকরা যখন বেশি মূল্য রাখেন, তখন পাইকারি মূল্যও বৃদ্ধি পায় বলে জানান খুলনা বড় বাজার চাল পট্টির একাধিক পাইকারি বিক্রেতা। ব্যবসায়ী খন্দকার শান্টু বলেন, মিল সব খুলনাতেই হওয়ায় তেমন পরিবহণ খরচ নেই, কিন্তু মিল মালিকরা দাম বাড়ালে আমরাও বাড়াতে বাধ্য হই।

নগরীর বিভিন্ন মিল হতে বালাম ২৮ বা রত্না পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে, যা পূর্বে ছিলো ৪৩ টাকা। হীরা মোটা সিদ্ধ ৩৮ টাকা থেকে এখন ৪০ টাকা প্রতি কেজি এবং স্বর্ণা চাল মাসব্যাপী ৪১/৪২ টাকার মধ্যে রয়েছে।

নগরীর গল্লামারি মিল মালিক আমিনুর রহমান বলেন, “কৃষকরা ধান ছাড়ছে না। মিলে নতুন ধান না আসলে দাম কমবে কিভাবে।” অপরদিকে বটিয়াঘাটা গ্রামের কৃষক মনছুর আলী বলেন, “ন্যায্য দাম না পালি ধান বেচতে যাবো কেন বাবা।”

এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় চালের মূল্য বাড়লেও অস্বাভাবিক হারে কমেছে চিনিগুড়া বা পোলাও চালের দাম। ৮০/৯০ টাকা পাইকারি দরের চিনিগুড়া চাল বর্তমানে ৬৫/৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। করোনাকালে সামাজিক অনুষ্ঠান ও হোটেল-ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় পোলাওয়ের চালের বাজার নি¤œমুখী বলে জানান পাইকারি বিক্রেতাগণ।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন