যশোরে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক মামলায় চার জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সৈয়দ সাবের হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, মারুফুল ইসলাম মারুফনসহ ৮০ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই কবির হোসেন মোল্যা।
অভিযুক্তরা হলেন, শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার মৃত নূর-উন-নবীর দুই ছেলে খুরশিদ আলম বাবু ও আশিকুল আলম অনি, সদর উপজেলার আলমনগরের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুজ্জামান এবং কাজীপুর গ্রামের মৃত নুরুল হক সরদারের ছেলে অজিয়ার রহমান।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর বিএনপির আহ্বানে তিন দিনের অবরোধ চলছিল। নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদে জানতে পারে, যশোর-খুলনা মহাসড়কের চাউলিয়া এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এদিন সকাল সোয়া ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই চারজনকে আটক করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৭টি ককটেল, বাঁশের লাঠি ও ইটের খোয়া উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ক্যাম্পের এসআই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে আটক ৪ জনসহ বিএনপি নেতা অনিন্দ ইসলাম অমিত, অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, মারুফুল ইসলাম মারুফসহ ৬১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৪ জনকে অভিযুক্ত করে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে শনিবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় এজাহারনামীয় ৫৭ জন ও বিভিন্ন সময়ে সন্দেহজনকভাবে আটক ২৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।
খুলনা গেজেট/এনএম
