যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা গ্রামে মাহমুদা সিদ্দিকা (১৩) নামে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় কিশোরীর শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। স্থানীয়দের ধারণা তাকে ধর্ষণের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পারিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার স্কুল থেকে ফেরার পথে মাহমুদা স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের দোকানে যায়। দোকান থেকে রুটি নিয়ে খাওয়ার সময় দোকানির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মুদি ব্যবসায়ী বিষয়টি মাহমুদার মাকে জানান। খবর পেয়ে মা ঘটনাস্থলে এসে মেয়েকে মারধর করে বাড়ি নিয়ে যান। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল।
পরিবার ও এলাকাবাসী রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বাড়ির পেছনের পুকুরে স্থানীয়রা চুল ভেসে থাকতে দেখে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে নিশ্চিত হয় যে সেটি নিখোঁজ মাহমুদার।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, তাকে ধর্ষণের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে উলঙ্গ অবস্থায় মৃতদেহ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরে একই পুকুর থেকে তার জামা ও ওড়না উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মাহমুদার বাবা মাওলানা আনিসুর হক বলেন, আমার মেয়ে সাঁতার জানতো না। হয়তো সে পানিতে ডুবে মারা গেছে।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খাঁন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এরপর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে।
খুলনা গেজেট/এএজে